হবিগঞ্জে আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে বেসামরিক জনগণকে দেয়া স্থগিত লাইসেন্সের ২৭৭টি আগ্নেয়াস্ত্র জমা পড়েছে। বাকি ৩১টি অস্ত্র এখনো জমা পড়েনি।
২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৫ অগাস্ট পর্যন্ত বেসামরিক জনগণকে দেওয়া আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স স্থগিত করে ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সেগুলো গোলাবারুদসহ সংশ্লিষ্ট থানায় জমা দিতে নির্দেশ দেয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালায়।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট প্রভাংশু সোম মহান বলেন, ‘সেই নির্দেশনা অনুযায়ী হবিগঞ্জের নয় উপজেলায় বিভিন্ন বেসামরিক জনকে লাইসেন্সের বিপরীতে দেয়া অস্ত্রগুলো নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই সংশ্লিষ্ট থানাগুলোতে জমা পড়ে। তবে বাকি থাকা ৩১ লাইসেন্সে ইস্যুকৃত অস্ত্রগুলো সম্পর্কে তথ্য নেয়া হচ্ছে।’
তিনি জানান, বাকি ৩১ লাইসেন্সধারীর সঙ্গে যোগাযোগেরও চেষ্টা করা হচ্ছে।
সাবেক সংসদ সদস্য আডভোকেট আবু জাহির, সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিষ্টার সায়েদুল হক সুমন, সাবেক মন্ত্রী মাহবুব আলী অস্ত্র জামা দিয়েছেন কিনা জানতে চাইলে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট প্রভাংশু সোম মহান বলেন, ‘কারো ব্যক্তিগত তথ্য আমি দিতে পারবো না।’
হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার রেজাউল হক খান বলেন, ‘ঘোষণা অনুযায়ী বেশিরভাগ আগ্নেয়াস্ত্রই জমা পড়েছে। আর যেগুলো এখনো বাকি, সেই অস্ত্রের ব্যাপারেও কাজ চলছে।’
আরও পড়ুন: