শনিবার

২৩ নভেম্বর, ২০২৪
৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১
২২ জামাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

অবৈধ ড্রেজারের মাধ্যমে বালু উত্তোলন; হুমকিতে কৃষি জমি ও বসতবাড়ি

প্রতিনিধি,মানিকগঞ্জ

প্রকাশিত: ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১৫:৪০

আপডেট: ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ০১:২৬

শেয়ার

অবৈধ ড্রেজারের মাধ্যমে বালু উত্তোলন; হুমকিতে কৃষি জমি ও বসতবাড়ি
মানিকগঞ্জের গাজীখালী নদী থেকে ড্রেজারের মাধ্যমে বালু উত্তোলনের চিত্র। ছবি: বাংলা এডিশন

মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইরে গাজীখালী নদী থেকে অবৈধ ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করার ফলে হুমকির মুখে পড়েছে নদী পাড়ের শত শত বিঘা তিন ফসলি জমি ও বাড়ি ঘর। উপজেলার তালেবপুর ইউনিয়নের ইরতা-কলাবাগান এলাকার গাজীখালী নদীতে এক সপ্তাহ ধরে চলছে অবৈধ এ কর্মযজ্ঞ।

তবে ড্রেজার মালিকরা বলছেন, একটি সেতুর সংযোগ সড়ক নির্মাণের জন্য নদী থেকে কিছু বালু ফেলা হচ্ছে। কিন্তু সরেজমিনে দেখা যায়, সেতুর সংযোগ সড়ক ছাড়াও একাধিক স্থানে বালু বিক্রি করা হয়েছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, গাজীখালী নদীতে বসানো হয়েছে অবৈধ ড্রেজার মেশিনের মাধ্যমে পাইপ দিয়ে পাশের গ্রামের মোঃ আক্কাসের একটি বিশাল পুকুর ভরাট করা ছাড়াও কলাবাগান গ্রামের বাদশার মাজারের পাশের কয়েকটি পুকুর ও নিচু জমি ভরাটের কাজ চলছে।

এদিন সাংবাদিকদের উপস্থিত দেখে ড্রেজার মেশিনের পাইপ পাশের নির্মাণ সেতুর সংযোগ সড়ক ভরাট শুরু করে। নদীর যেখানে ড্রেজার মেশিন বসানো হয়েছে তার ২০ ফুট পাশেই রয়েছে তিন ফসলি জমিসহ নদীর দুই পারে শত শত বিঘা কৃষি জমি। ড্রেজার বসিয়ে যেভাবে বালু তোলার ফলে যে কোন সময় ভেঙে পড়তে পারে পাশের কৃষি জমি ও বসতবাড়ি।

ইরতা গ্রামের রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘নদীর পাশে আমার দুই বিঘা কৃষি জমি রয়েছে। যেভাবে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু তোলা হচ্ছে যেকোনো সময় আমার জমিগুলো নদীতে ভেঙে পড়বে। এ বিষয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে, ড্রেজার মালিক আবুল হোসেন বলেন, ‘গাজীখালি নদীর উপর নির্মাণাধীন সেতুটির দুই পাশের সংযোগ সড়কের জন্য কিছু মাটি দরকার তাই ড্রেজার বসিয়ে কিছু বালু উত্তোলন করছি। রাতে আমি যখন ছিলাম না তখন কিছু বালু অন্যত্রে ফেলা হয়েছে। তবে সেতুর সংযোগ সড়কের বাইরে আর বালু ফেলা হবে না।’

নদী থেকে বালু উত্তোলনের অনুমতি কে দিয়েছেন? এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, লিখিত কোন অনুমতি পাইনি। তবে উপজেলা প্রশাসন বিষয়টি জানেন।

স্থানীয়রা অবৈধ ড্রেজার বন্ধে দ্রুত প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করলে, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পলাশ কুমার বসু বলেন, নদী থেকে বালু উত্তোলন করলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। এ বিষয়ে অনুমতি দেয়ার প্রশ্নই আসে না। আমি এখনই খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছি।