নাটোরের বড়াইগ্রামের সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মমিন আলীর অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি শেষে স্মারকলিপি দিয়েছে স্থানীয়রা।
রোববার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষে মনিরুল ইসলাম জনি ও এলাকাবাসী ইউএনও বরাবর এ স্মারকলিপি দিয়েছেন ।
ওই স্মারকলিপিতে বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলার সময় গত ৩,৪ ও ৫ আগস্ট ২০২৪ তারিখে ছাত্রদের ওপর চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে দেশীয় অস্ত্রসহ ছাত্রলীগ-যুবলীগ হামলা করলে প্রায় ২০ জন সাধারণ শিক্ষার্থী আহত হয়।
২ নং বড়াইগ্রাম ইউনিয়নের চলমান প্রকল্পে ব্যাপক দূর্নীতি, চেয়ারম্যান পদের ক্ষমতার অপব্যবহার করে অসদুপায়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবৈধ লেনদেন, জোর পূর্বক জমি দখল, মহামান্য হাইকোর্টের রায় অমান্য করে তিন ফসলি জমিতে ব্যাপক পরিমাণে অবৈধ পুকুর খনন, এলাকার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চাঁদাবাজি, নির্বাচনি হলফনামার বিপরীতে কয়েক শত গুণ বেশি অবৈধ সম্পদ অর্জনসহ গ্রাম আদালতে অবৈধ ভাবে বলপূর্বক ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ করা হয় স্মারকলিপিতে।
সদর ইউনিয়ন ছাত্রদল সভাপতি সাইফ আল মাহমুদ নিসাত বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে চেয়ারম্যানের গুন্ডা বাহিনী ছাত্রদের ওপর হামলা চালায়, ইউনিয়নের চলমান প্রকল্পে ব্যাপক দূর্নীতি ও মহামান্য হাইকোর্টের রায় অমান্য করে তিন ফসলি জমিতে অবৈধ পুকুর খনন ও সরকারি সড়ক নষ্ট করে মাটি বিক্রির নেতৃত্ব প্রদান করেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে ২নং বড়াইগ্রাম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মমিন আলীকে পদচ্যুত করার আবেদন করেছি।'
এ বিষয়ে জানতে ২নং বড়াইগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মমিন আলীর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন: