শনিবার

২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
১৩ আশ্বিন, ১৪৩১
২৫ রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ; আইনি পদক্ষেপ চান অভিভাবকরা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১৭:০৪

আপডেট: ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১৭:০৭

শেয়ার

 চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ; আইনি পদক্ষেপ চান অভিভাবকরা
অভিযুক্ত দুই শিক্ষক। ছবি: বাংলা এডিশন

শ্রেণিকক্ষে এক ছাত্রীর শ্লীলতাহানির ঘটনায় চুপ থাকা, স্কুল ভবনে বন্যাকবলিত মানুষদের আশ্রয় না দেয়া এবং নানা স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগে চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে এক প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ চেয়েছেন ক্ষুদ্ধ অভিভাবকরা।

উপজেলার ধুম ইউনিয়নের গোলকেরহাট পাঞ্জুবেরনেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রোমেনা আক্তার ও বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (ল্যাব) জয়নাল আবেদীনের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে দেয়া একটি লিখিত অভিযোগে এমনটি দাবি করেছেন তারা।

গত ১ সেপ্টেম্বর বিদ্যালয় বন্ধ থাকাকালীন সময়ে স্কুলের শ্রেণিকক্ষে সহকারী শিক্ষক জয়নাল এক ছাত্রীর শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন। এ ঘটনা তাৎক্ষণিক প্রধান শিক্ষককে জানালে তিনি এ বিষয়ে কোন পদক্ষেপ না নিয়ে উল্টো ওই শিক্ষকের নিকৃষ্ট ঘটনাটি আড়ালের চেষ্টা চালান। পরবর্তীতে ভুক্তভোগী পরিবার এ বিষয়ে প্রতিকার পেতে ৯৯৯ এ ফোন করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক জয়নালকে থানায় নিয়ে যায়। এরপর ভুক্তভোগী পরিবার তার বিরুদ্ধে মিরসরাইয়ের জোরারগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করলে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়।

অভিভাবক আব্দুল মান্নান অভিযোগ করেন, স্কুলের অভ্যন্তরে এত নিকৃষ্ট একটি ঘটনার পরও প্রধান শিক্ষক রোমেনা আক্তার ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে কোন আইনি ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো অভিভাবকদের হুমকি-ধমকি দেন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবার মামলা করার পরও প্রধান শিক্ষক ওই সহকারী শিক্ষকের পক্ষে নানা চেষ্টা-তদবীর অব্যহত রয়েছে।

মিরসরাইয়ের জোরারগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল্লাহ আল হারুন জানান, অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছে ‚ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর পরিবার।

এ দিকে অভিভাবক রেজাউল করিম ও নজরুল ইসলাম দাবি করেন, প্রধান শিক্ষক রোমেনা আক্তার একজন স্বেচ্ছাচারী শিক্ষক। তিনি ক্ষমতার দাপটে বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষককে জোরপূর্বক অবসরে যেতে বাধ্য করেন। শ্রেণি কক্ষে প্রাইভেট টিউশন আইনত বন্ধ থাকলেও মেয়েদের প্রাইভেট পড়তে বাধ্য করা হতো। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় অর্থ আত্মসাতের মতো গুরতর অভিযোগও রয়েছে। এছাড়া সম্প্রতি মিরসরাইয়েল উত্তরাঞ্চল বন্যায় নিমজ্জিত হওয়ার পর এলাকার লোকজন স্কুল ভবনে বন্যাকবলিত মানুষকে আশ্রয় দিতে অনুরোধ করলে প্রধান শিক্ষক তা করেননি।

মিরসরাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহফুজা জেরিন বলেন, একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। এ বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। তদন্তের পর শিক্ষা বোর্ড শিক্ষা প্রশাসনের মাধ্যমে দায়িদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে।’

সোমবার এসব বিষয়ে বক্তব্য নিতে গোলকেরহাট পাঞ্জুবেরনেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রোমেনা আক্তারকে ফোন দিলে তিনি অসুস্থ দাবি করে বলেন, এ বিষয়ে আমি আপনার সাথে পরে কথা বলবো।