নোয়াখালী চাটখিলে সিজার অপারেশনের সময় ভুল চিকিৎসায় জাহানারা আক্তার (২৮) নামে প্রসূতি এক মায়ের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। গত ৮ সেপ্টেম্বর দুপুরে উপজেলার চাটখিল স্কয়ার হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত জাহানারা উপজেলার রামায়ণপুর ইউনিয়নের কালিকাপুর গ্রামের ব্যাগ বাড়ির জহির উদ্দিনের স্ত্রী।
জাহানারার পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, রবিবার সকাল ১১টার দিকে জাহানারাকে তারা চাটখিল স্কয়ার হাসপাতালে নিয়ে আসেন।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ প্রথম বিকেলে সিজার করবে সিদ্ধান্ত জানালে জহির উদ্দিন দুপুরের খাবার আনতে বাড়ির উদ্দেশ্যে চলে যান। হসপাতাল থেকে বের হলে শুনতে পান সব ধরনের রুটিন চেকআপ না করে তারা জাহানারাকে সিজারিয়ান অপারেশন জন্য অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যায়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে এত তাড়াতাড়ি অপারেশনের কারণ জিজ্ঞেস করলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান ডাক্তার মোস্তাক আহমেদ চলে এসেছে, তিনি বেশিক্ষণ থাকবেন না তাই দ্রুত সিজার করে ফেলতে হবে।
সিজার সম্পন্ন হলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ প্রসূতি জাহানারা আক্তারকে পর্যাপ্ত সময় ক্রিটিক্যাল পোস্ট-অপারেটিভ রুমে না রেখে জেনারেল বেডে দিয়ে দিলে তার শারীরিক অবস্থা খারাপ হতে থাকে। তখন হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার এসে বলে জাহানারা স্ট্রোক করেছে আপনারা দ্রুত অন্যত্র নিয়ে যান। তখন জাহানারার পরিবারের সদস্যরা দেরি না করে ঢাকার একটি হাসপাতালে নিয়ে যায় সেখানে তিন দিন আইসিইউ থাকার পর গতকাল বুধবার জাহানারা ইন্তেকাল করেন।
জহির উদ্দিন বলেন, চাটখিল স্কয়ার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও ডাক্তারের অবহেলায় আমার স্ত্রী জাহানারা মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। তারা আমাদেরকে না জানিয়ে এবং সিজারের পূর্বে সকল রুটিন টেস্ট না করে আমার স্ত্রীকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যায় এবং পরিকল্পিতভাবে আমার স্ত্রীকে হত্যা করে।
ভুল চিকিৎসার বিষয়ে চাটখিল স্কয়ার হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ সোহাগ এর নিকট জানার জন্য তার মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি সাড়া দেননি।
উল্লেখ্য যে, চাটখিল স্কয়ার হাসপাতাল ও ডাক্তার খন্দকার মোস্তাক আহমেদের বিরুদ্ধে পূর্বে একাধিকবার ভুল চিকিৎসাসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠে আসছে।
চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার খন্দকার মোস্তাক আহমেদকে তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগের বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে তিনি সকল অভিযোগ এড়িয়ে যান।
নোয়াখালী জেলা সিভিল সার্জন ডাক্তার মাসুম ইফতেখার অভিযোগের বিষয়ে বলেন, এ বিষয়ে কেউ এখনও জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ জানান নাই, লিখিত অভিযোগ পেলে তিনি তদন্তপূর্বক যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
আরও পড়ুন: