শনিবার

২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
১৩ আশ্বিন, ১৪৩১
২৫ রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

মানিকগঞ্জে স্ত্রীর গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন

প্রতিনিধি,মানিকগঞ্জ

প্রকাশিত: ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১১:০২

আপডেট: ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১১:০৩

শেয়ার

মানিকগঞ্জে স্ত্রীর গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন
প্রতীকী ছবি

মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় স্ত্রীর গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মো. হাসান আলী নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ২৭ বছর বয়সী স্ত্রী শারমিন আক্তারসহ আরো দুইজন দগ্ধ হয়েছেন। শুক্রবার উপজেলার পশ্চিম গওলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। স্বজনদের অভিযোগ পুড়িয়ে মারার উদ্দেশ্যে আগুন দেয়া হয়েছে।

ভুক্তভোগী পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে , উপজেলার সাটুরিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম গওলা গ্রামের মৃত আতাউর রহমানের মেয়ে শারমিন আক্তারের সঙ্গে ধামারাইয়ের রাজাপুর গ্রামের হাসান আলীর ১০ বছর আগে বিয়ে হয়। তাদের সংসারে ৯ বছরের রোহান নামের এক ছেলে আছে। বিয়ের পর থেকেই স্বামী তাকে অমানবিক নির্যাতন করতো। এ নিয়ে শারমিন আক্তার বেশ কয়েকবার বাবার বাড়ি চলে আসে।

গত বৃহস্পতিবার শারমিন আক্তার বাবার বাড়ি এসে স্বামী হাসান আলীকে তালাক দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন। এ খবর শুনে হাসান আলী শুক্রবার সকালে স্ত্রীর বাড়িতে আসেন। স্বামী আসার খবর শুনে শারমিন তার চাচার বাড়িতে আশ্রয় নেয়। এ সময় হাসান আলী চাচা শ্বশুরের বাড়ির বাথরুমের উপর দিয়ে রুমের ফলস সিলিং ভেঙে রুমে প্রবেশ করে পেট্রোল দিয়ে শারমিনের শরীরে আগুন ধরিয়ে হত্যা চেষ্টা করে। এ সময় শারমীনকে বাঁচাতে এসে চাচি শিরীন আক্তার ও চাচাতো ভাই রুবেলের শরীরেও আগুন লেগে যায়।

পরে স্থানীয়রা তাদের আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়।

শারমিনের ভাবি লিজা পারভিন বলেন, ‘বহস্পতিবার রাতে ননদ শারমিন তার স্বামীকে তালাক দেবে বলে সব ধরণের কাগজপত্র ঠিক করছিল। কিন্তু এ খবর পেয়ে ননদের স্বামী হাসান আলী শুক্রবার সকালে এসে শারমিনের গায়ে আগুন ধরিয়ে দিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। শারমিনকে বাঁচাতে এসে চাচি শিরীন আক্তার ও চাচাতো ভাই রুবেলের শরীরেও আগুন লেগে যায়।'

সাটুরিয়া ইউপি চেয়াররম্যান মো. আনোয়ার হোসেন পিন্টু বলেন, ‘ওই দম্পতির মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক কলহ চলছিল। স্ত্রী স্বামীকে তালাক দেবে শুনে স্বামী হাসান আলী গায়ে পেট্রোল দিয়ে স্ত্রীকে হত্যার চেষ্টা করে। এ সময় আরো দুইজন আগুনে পুড়ে গেছে। তিনজনই আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছে বলে শুনেছি।'

সাটুরিয়া থানার ওসির দায়িত্বে থাকা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মানবেন্দ্র বালো ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘এখনো কেউ মামলা করেনি। মামলা করলে আইনগত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।'