হবিগঞ্জে নদী ভাঙনে বিলীন হচ্ছে রাস্তা-ঘাট এবং ফসলি জমি। হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার রাধানগর গ্রামের দরিদ্র কৃষক ছুয়েব আলী। খোয়াই নদীর ভাঙনে বিলীন হয়েছে তার একমাত্র বসতভিটা। মাথা গোঁজার ঠাঁই হারিয়ে পরিবার নিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন অন্যের বাড়িতে।
তিনি বলেন, ‘অন্যের বাড়িতে কতদিন থাকা যায়? এখন কী করবো, কোথায় যাবো, কিছুই মাথায় ধরছে না। নতুন করে আরেকটা বাড়ি বানানোর ক্ষমতা আমার নাই।’
এই গ্রামের অনেক ঘরবাড়ি নদীতে বিলীন হয়েছে। আগ্রাসী খোয়াই নদী কেড়ে নিয়েছে অনেকের মাথা গোঁজার ঠাঁই। সহায় সম্বল হারিয়ে এসব পরিবার এখন দিশাহারা। মূলত কয়েক বছর ধরেই বর্ষা মৌসুমে রাধানগর গ্রামে খোয়াই নদীতে ভাঙন দেখা দেয়। তবে সময় যত যাচ্ছে ভাঙনের তীব্রতা যেনো আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে।
ভারতের আসাম রাজ্যের আঠারোমুড়া পাহাড় থেকে উৎপত্তি হয়ে খোয়াই নদী বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে চুনারুঘাট উপজেলার বাল্লা সীমান্ত দিয়ে। পরে জেলার পাঁচটি উপজেলার ওপর দিয়ে ১৬৬ কিলোমিটার প্রবাহিত হয়ে মেঘনায় গিয়ে পড়েছে। প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে উজানের ঢল নেমে এলেই ভয়ংকর রূপ ধারণ করে খোয়াই। সাম্প্রতিক বছরগুলোয় খোয়াই যেন আরও ভয়ংকর হয়ে উঠছে।
সম্প্রতি খোয়াই নদী পরিদর্শনে আসেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ উপদেষ্টা ফারুক ই আজম। এ সময় ফারুক ই আজম বলেন, ‘আমি স্থানীয় প্রশাসনকে বলেছি, তারা যেনো এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে কী ব্যবস্থা নেয়া যায় সেটা আমাদের জানায়। আমরা সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবো।'
আরও পড়ুন: