চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মোতালেব জমাদারকে হত্যা করা হয়েছে অভিযোগ এনে আদালতে মামলা করা হয়েছে।
ঘটনার দীর্ঘ ৪ বছর পর বুধবার ১৮ সেপ্টেম্বর দুপুরে চাঁদপুরের হাইমচর আমলী আদালতে মামলাটি দায়ের করেন আবু তালেব জমাদার।
মামলায় হাইমচর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদ্য সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নুর হোসেন পাটওয়ারীসহ দলটির অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের ৭৪ নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, মামলার আসামী নুর হোসেন ও বাদীর পিতা মোতালেব জমাদার ২০২০ সালের হাইমচর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী ছিলেন। তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি নুর হোসেনকে মনোনয়ন দেন। আর মোতালেব জমাদার স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। নির্বাচন নিয়ে দুই প্রার্থীর মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। নুর হোসেন তার লোকজনসহ নির্বাচনি প্রচারণার সময়ে মোতালেব জমাদারকে মারধর করেন। তিনি দীর্ঘদিন ঢাকায় চিকিৎসা শেষে নিজ বাড়ীতে ২০২০ সালের ২৭ নভেম্বর মৃত্যুবরণ করেন। তবে নুর হোসেন প্রভাবশালী হওয়ার কারণে দীর্ঘদিন মামলা করতে পারেননি।
মামলায় বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. শাহাজাহন খান বলেন, ‘আসামী পক্ষ হাসিনা সরকারের প্রভাশালী লোক ছিলেন। পরিবারের নিরাপত্তাহীনতায় এমন মর্মান্তিক হত্যার ঘটনায় মামলা করতে পারেননি এবং মামলা করতে দেরি হয়েছে। পিবিআইকে মামলাটির তদন্ত করার জন্য আদালতে আবেদন করা হয়েছে। আশা করি সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে বাদী সঠিক বিচার পাবেন।‘
আরও পড়ুন: