রবিবার

২৪ নভেম্বর, ২০২৪
৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১
২২ জামাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

পটুয়াখালীর মহিপুর প্রেসক্লাব দখলের অভিযোগ থানা বিএনপির বিরুদ্ধে

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১৪:৪৬

আপডেট: ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১৬:০৫

শেয়ার

পটুয়াখালীর মহিপুর প্রেসক্লাব দখলের অভিযোগ থানা বিএনপির বিরুদ্ধে
মহিপুর প্রেসক্লাব। ছবি: বাংলা এডিশন

পটুয়াখালীর মহিপুর প্রেসক্লাবে ভাঙচুর করে তালা ঝুলিয়ে দখল নেয়ার অভিযোগ ওঠেছে মহিপুর থানা বিএনপি। এ ঘটনায় সাংবাদিকসহ সাধারণ মানুষের মধ্যে ভীতির তৈরি হয়েছে।

স্থানীয় সাংবাদিরা জানান, যেখানে গণমাধ্যম বা মিডিয়া প্রতিষ্ঠান রক্ষা পায়নি সেখানে সাধারণ মানুষের রক্ষা পাওয়ার তো সুযোগই নেই।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ৪ সেপ্টেম্বর বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন কলাপাড়া প্রেসক্লাব হলরুমে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেন। এ সময় মহিপুর প্রেসক্লাবের সংবাদকর্মীরা ওই মত বিনিময় সভায় যান। তখন মহিপুর প্রেসক্লাবে সংবাদকর্মী না থাকায় থানা শ্রমিক দলের সভাপতি পিন্ট ভদ্র ও মহিপুর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শাজাহান পারভেজের নেতৃত্বে ভাঙচুর করে দুর্বৃত্তরা তালা ঝুলিয়ে দেয় প্রেসক্লাবে।

একইসঙ্গে প্রেসক্লাবের গেস্ট রুম দখল করার অভিযোগ ওঠেছে মহিপুর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এ্যডভোকেট শাহজাহান পারভেজে ভাগিনা লিমন খানের বিরুদ্ধে। এতে বাধা দিলে প্রেসক্লবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হাবিবুল্লাহ খান রাব্বীকে হেনস্থা করা হয়।

মহিপুরে প্রেসক্লাবের কয়েকজন সাংবাদিক বাংলা এডিশনকে জানান বিষয়টি তাৎক্ষণিক বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেনকে জানানো হলেও কোনো ব্যবস্থা নেননি তিনি। পরবর্তীতে কুয়াকাটা প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করে বের হওয়ার সময় আবারও তাকে জানানো হয়। তখন তিনি স্থানীয় নেতা-কর্মীদের সমাধান দিতে বলে চলে যান। এ বিষয়ে স্থানীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও এখন পর্যন্ত তালা খুলে দেননি তারা।

এর আগে, গত ২৮ আগস্ট ৭৯ আসামির নাম উল্লেখ করে ১০০ থেকে ১৫০ জনকে অজ্ঞাত রেখে বিস্ফোরক আইনে একটি মামলা দায়ের করে মহিপুর থানা বিএনপি। ওই মামলায় মহিপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সভাপতিসহ ৫ জনকে আসামি করা হয়।

তারা হলেন- সাবেক সভাপতি মনিরুল ইসলাম , সাধারণ সম্পাদক মাহতাব হাওলাদার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনির হাওলাদার, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহিন শিকদার, অর্থ সম্পাদক মহিবুল্লাহ পাটোয়ারী।

মামলার বিষয়ে মহিপুর প্রেসক্লাবের একাধিক সদস্য বলেন,সরকার পতনের পর মহিপুরে ব্যাপক দখল ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এসব সংবাদ প্রকাশের জেরে প্রেসক্লাবের ৫ সদস্যকে  মামলায় আসামি করা হয়। এর পরপরই তারা প্রেসক্লাবের কিছু সম্পত্তি দখল করতে আসে। এতে বাধা দেয়ায় প্রেসক্লাবে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন তারা। বিএনপির সিনিয়র নেতাদের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করেও কোনো সুরাহা পাইনি।

অভিযোগের বিষয়ে বাংলা এডিশনকে অ্যাডভোকেট শাজাহান পারভেজ বলেন, ‘লিমন খান নামে আমার কোন ভাগিনা নেই, প্রেসক্লাবে তালা বা গেস্ট রুম দখলে আমার কোন সম্পৃক্ততা নেই, এটা সাংবাদিকদের অভ্যন্তরীণ কোন্দল।

বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেনের সাথে বাংলা এডিশনের পক্ষ থেকে একাধিকবার মোবাইলে যোগাযোগ করা হলেও তার তাকে পাওয়া যায়নি।