রবিবার

২৪ নভেম্বর, ২০২৪
৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১
২২ জামাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

সরকারি চাল কালো বাজারে, ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা

প্রতিনিধি, জয়পুরহাট

প্রকাশিত: ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১৭:৫৮

আপডেট: ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১৮:০২

শেয়ার

সরকারি চাল কালো বাজারে, ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা
কোলাজ: বাংলা এডিশন

জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার তিলকপুর ইউনিয়নের হতদরিদ্রদের বরাদ্দকৃত চাল বিক্রির অভিযোগ উঠেছে তিলকপুর ইউপি চেয়ারম্যান, ইউপি সচিব ও দুজন ইউপি সদস্যসহ পাঁচ সহযোগির বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ৯ জনের বিরুদ্ধে শুক্রবার আক্কেলপুর থানায় একটি মামলা করা হয়েছে।

র‌্যাবের অভিযানে তিলকপুর বাজারের একটি গুদামে মজুত করা ৬ দশমিক ২ মেট্রিক টন সরকারি চাল জব্দসহ দুজনকে আটকের পর ইউপি চেয়ারম্যান, ইউপির সচিব ও দুই ইউপি সদস্যর সম্পৃক্তার বিষয়টি বেরিয়ে এসেছে।

গ্রেফতার হওয়া ওই দুই ব্যক্তি হলেন- রিতুল দাস ও সাজেদুর রহমান। তারা আক্কেলপুর উপজেলার ভাটকুড়ি গ্রামের বাসিন্দা।

র‌্যাবের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, রিতুল ও সাজেদুর দীর্ঘদিন ধরে ইউনিয়ন পর্যায়ে সরকারি ভাবে হতদরিদ্রদের মাঝে বিনামূল্যে বিতরনের জন্য বরাদ্দ করা চাল অবৈধভাবে মজুদ করতেন। খাদ্য অধিদপ্তরের সীলমোহর করা সরকারি বস্তা পাল্টিয়ে মাছের ফিডের বস্তায় রাখতেন তারা। পরে অধিক লাভের আশায় চালগুলো কালোবাজারে বিক্রি করতেন।

অভিযানে ১২৪টি (প্রতি বস্তায় ৫০ কেজি) চালের বস্তা উদ্ধার করা হয়েছে। তিলকপুর ইউপির চেয়ারম্যান সেলিম মাহববুব সজল, ইউপির সচিব মো. সাজেদুল ইসলাম, ইউপির সদস্য মামুনুর রশিদ পিন্ট ও বাদশা আলম হতদরিদ্রদের বিনামুল্যে বিতরণকৃত চাল কালোবাজারি করতে সহযোগিতা করতেন। অন্য আসামিরা চালগুলো রেশমা চাউল মিলের গুদামে মজুদ করে রাখতেন। পরে তারা মজুদ চালগুলো কালোবাজারে বিক্রি করতেন।

র‌্যাব-৫ জয়পুরহাট ক্যাম্পের অধিনায়ক মেজর আসিফ আল রাজেক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, জব্দকৃত চালসহ আটক দুই ব্যক্তিকে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান, ইউপি সচিব ও ইউপির দুই সদস্যসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করা হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে তিলকপুর ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম মাহবুব সজল ও ইউপি সচিব সাজেদুল ইসলামের মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তা বন্ধ পাওয়া গেছে।

আক্কেলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নয়ন হোসেন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, উদ্ধার করা চালসহ দুইজন আসামিকে থানায় হস্তান্তর করেছে র‌্যাব। এ মামলার অন্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।