সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে পানি উন্নয়ন বোর্ড ও বালি উত্তোলনকারীদের যোগসাজশে তবাড়িপাড়া গ্রামে ফুলজোর নদী থেকে ড্রেজার দিয়ে উত্তোলনকৃত বালি টেন্ডার ছাড়াই বিক্রি করছে। স্থানীয় প্রশাসন নীরব থাকায় এলাকাবাসীর মধ্যে তীব্র ক্ষোভের প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, উপজেলার চান্দাইকোনা ইউনিয়নের তবাড়িপাড়া গ্রামে ফুলজোর নদী থেকে নদী খনন প্রকল্পের মাধ্যমে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করছে।
সরকারি বিধি অনুযায়ী একটি বালি উত্তোলন করার পর সরকারিভাবে বালির উত্তোলনের স্থান পরিদর্শন করতে হবে। তারপর সরকারিভাবে টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে বালি বিক্রি সম্পন্ন করতে হবে।
কিন্তু স্থানীয় বাসিন্দা মৃত লতিফ খন্দকার এর ছেলে জিকু খন্দকার, দুলাল খন্দকার, জিল্লুর রহমান, জহির উদ্দিনসহ অনেকেই সরকারি বিধি লংঘন করে পানি উন্নয়ন বোর্ডের যোগসাজশে টেন্ডার ছাড়াই বালি বিক্রি করছে। এই অবৈধ প্রক্রিয়ায় বালি বিক্রির কারণে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
এ বিষয়ে বালি বিক্রির সঙ্গে জড়িত জিকু খন্দকারের কাছে মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখনো বালি বিক্রির কোন টেন্ডার হয়নি, তবে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
এ বিষয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি') আফিফান নজমুর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সরকারিভাবে কোন টেন্ডার হয়নি। যদি কেও টেন্ডার ছাড়া বিক্রি করে থাকে তাহলে সেটা দন্ডনীয় অপরাধ।
টেন্ডার ছাড়াই বালি বিক্রির বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদ হাসান খান বলেন, বিষয়টি আমি অবগত নই। তবে টেন্ডার ছাড়া বালি বিক্রির কোন সুযোগ নেই।
আরও পড়ুন: