কয়েক দিনের টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পানির ঢলে ধরলা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। কুড়িগ্রামের উলিপুরে দেখা দিয়েছে ব্যাপক ভাঙন। উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়নে কমপক্ষে ১৫৫টি পরিবারের ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
সোমবার সকালে নদীগর্ভে বিলিন হয়েছে প্রান্তিক মানুষের চিকিৎসার একমাত্র আশ্রয়স্থল খুটিরকুটি কমিউনিটি ক্লিনিক। এছাড়া ভাঙনের মুখে পড়েছে বেগমগঞ্জ বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র ও খুদিরকুটি আব্দুল হামিদ উচ্চ বিদ্যালয়ের দ্বিতল ভবন।
বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের সদস্য শফিকুল ইসলাম ও ৭নং ওয়ার্ডের সদস্য জালাল মণ্ডল জানান, তিন দিনের টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পানির ঢলে ধরলা নদী তীরে তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙনে মন্ডলপাড়া এলাকার প্রায় ৫০টি, আল আমিন বাজার এলাকায় ৩০টি ও আব্দুল হামিদ উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন ব্যাপারীপাড়া রসুলপুর এলাকার ৫০টি পরিবারের বসতভিটাসহ প্রায় ৫০ একর ফসলি জমি, অসংখ্য গাছপালা নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে।
এছাড়া পার্শ্ববর্তী দুধকুমার নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় একই ইউনিয়নের মোল্লারহাট এলাকার দুলাল ব্যপারীর গ্রামের প্রায় ২৫টি পরিবারের বসতভিটা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে।
উপজেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা সিরাজুদৌল্লা জানান, ‘ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। ক্ষয়ক্ষতির প্রতিবেদন পাওয়ার পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে। \’
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান বলেন, ‘নদী ভাঙনের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ভাঙন রোধের জন্য জিওব্যাগ পাঠানো হয়েছে। দ্রুত এসব জিওব্যাগ ফেলার ব্যবস্থা করা হবে। ব্যাগ ফেলার সময় অফিসের লোক সেখানে উপস্থিত থাকবেন।’
আরও পড়ুন: