রবিবার

২৪ নভেম্বর, ২০২৪
১০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১
২২ জামাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

ওবায়দুল কাদেরের স্ত্রীর গাড়ী চালকের সিঙ্গাইরে ২ কোটি টাকার ডুপ্লেক্স বাড়ি

প্রতিনিধি,মানিকগঞ্জ

প্রকাশিত: ৪ অক্টোবর, ২০২৪ ১৩:১৮

আপডেট: ৪ অক্টোবর, ২০২৪ ১৩:১৯

শেয়ার

ওবায়দুল কাদেরের স্ত্রীর গাড়ী চালকের সিঙ্গাইরে ২ কোটি টাকার ডুপ্লেক্স বাড়ি
আতিকুর রহমানের দৃষ্টিনন্দন ডুপ্লেক্স বাড়ি। ছবি: বাংলা এডিশন

মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইরে দৃষ্টিনন্দন ডুপ্লেক্স বাড়ি নির্মাণ করে আলোচনায় এসেছেন প্রাইভেটকার চালক আতিকুর রহমান। আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের স্ত্রীর গাড়ি চালক হিসেবে সবাই তাকে চিনেন। প্রায় ২ কোটি টাকা ব্যয়ে বাড়ি নির্মাণ করেছেন গাড়ী চালক আতিক। স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, অবৈধ পন্থায় উপার্জিত টাকা দিয়ে আতিক ডুপ্লেক্স বাড়িটি নির্মাণ করেছেন ।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়,আতিকুর রহমান সড়ক পরিবহণ ও সেতু বিভাগে গাড়ী চালকের চাকরি নিলেও তিনি গাড়ী চালাতেন সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের স্ত্রীর। এ সুযোগে তাদের ছত্রছায়ায় নানা অনিয়ম ও তদবির বানিজ্য করে অবৈধ উপায়ে উপার্জন করেন মোটা অংকের টাকা। সেই টাকা দিয়েই গ্রামে ডুপ্লেক্স বাড়ি ও ঢাকায় ব্যবসা পরিচালনা করছেন বলে অনুসন্ধানে জানা গেছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এলাকার একাধিক ব্যক্তি জানান, করোনাকালীন সময়ে সিঙ্গাইর থেকে ইটভর্তি ট্রাক ঢাকায় প্রবেশ করতে বিধি-নিষেধ থাকলেও মন্ত্রী ও তার স্ত্রীর নাম ব্যবহার করে আতিক গাড়ী প্রতি ৫ হাজার টাকা করে নিতেন। ফলে ভাটা মালিকরাও তার শরণাপন্ন হতেন। এভাবে হাতিয়ে নিয়েছেন লাখ লাখ টাকা । এছাড়াও আতিকের রাজধানী ঢাকায় রয়েছে জেন্টস পার্লার ও রেস্টুরেন্টের ব্যবসা।

অভিযুক্ত আতিকুর রহমানকে তার বাড়িতে গিয়ে পাওয়া যায়নি ।

সিঙ্গাইর উপজেলা দুর্নীতি দমন প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মো. ইউনুস বলেন, ‘আমাদের কাজ দুর্নীতির বিরুদ্ধে সচেতন করা। তদন্ত করার এখতিয়ার আমাদের নেই। তবে এ বিষয়ে কেউ দুদকে অভিযোগ করলে কমিশন তদন্ত করে দেখবেন।’

এ বিষয়ে জেলা দুর্নীতি দমন কমিশনের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি ) অ্যাডভোকেট আজিজ উল্লাহ বলেন, ‘যদি কেউ এরকম হয়ে থাকে তবে সেটা সরকারিভাবে তদন্ত হবে, মামলা হবে। আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে এবং এ্যাকশন নিবে। এটা আমার দুদক চায়, পিপি হিসেবে আমিও চাই । আমাদের পিপিদের কাছে কোনো রেকর্ড না আসা পর্যন্ত আমলে নিতে পারিনা।’