মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইরে শাশুড়িকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ ওঠেছে পুত্রবধু রুনা বেগমের(২৮) বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় ছেলের বউ রুনা ও ছেলের শাশুড়িকে স্থানীয়রা আটক করে পুলিশে সোর্পদ করেছে। গত রোববার( ৬ অক্টোবর) রাতে সিঙ্গাইর পৌর এলাকার নয়াডাঙ্গী এলাকার নিজ বাড়ির শয়ন কক্ষের সিন্দুকের ভেতর থেকে নিহত হায়াতুন নেছার(৬০) মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত হায়াতুন নেছা সিঙ্গাইর পৌর এলাকার নয়াডাঙ্গি গ্রামের মাহামুদ কাজীর স্ত্রী। আটক ছেলের বউ রুনা বেগম ও তার মা (ছেলের শাশুড়ি)।
নিহতের স্বজন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সিঙ্গাইর পৌরসভার নয়াডাঙ্গী গ্রামের প্রবাসী আব্দুল খালেকের মা ও তার ছেলের বউ রুনা বেগম একই বাড়িতে বসবাস করতেন। মাঝেমধ্যেই ছেলের বউ রুনা তার শাশুড়িকে না জানিয়ে বাড়ির বাইরে ঘুরতে বের হতেন। এনিয়ে গত ৫ অক্টোবর সন্ধ্যায় দুজনের মধ্যে ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে রুনা তার শাশুড়িকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে সিন্দুকের ভেতরে মরদেহ লুকিয়ে রাখে। রোববার সকালে রুনা বাড়ি থেকে তার নানীর বাড়ি চলে যায়। এদিকে, বাড়িতে কোন সারা শব্দ না পেয়ে স্বজনরা হায়াতুন নেছাকে খোঁজাখুঁজি করতে থাকে।
অপরদিকে, গত রোববার সন্ধ্যায় রুনা তার মাকে নিয়ে শশুরবাড়িতে হাজির হলে আত্মীয়-স্বজনদের জিজ্ঞাসার একপর্যায়ে তাকে হত্যা করে মরদেহ সিন্দুকের ভেতর লুকিয়ে রেখেছে বলে জানায়। পরে, এলাকাবাসী খবর দিলে পুলিশ সিন্দুকের ভেতর থেকে মরদেহ উদ্ধার করে।
সিঙ্গাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহিদুল ইসলাম জাহাঙ্গীর বলেন, ‘খবর পেয়ে নিহতের শয়নকক্ষ থেকে মরদেহ উদ্ধার করে সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে ছেলের বউ রুনা ও তার মাকে আটক করা হয়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে শ্বাসরোধ করে হায়াতুন নেছাকে হত্যা করা হয়ে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
আরও পড়ুন: