রবিবার

২৪ নভেম্বর, ২০২৪
৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১
২২ জামাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

কুয়াকাটায় জিও ব্যাগ সৌন্দর্য নষ্টের সাথে পরিনত হয়েছে মরণ ফাঁদে

প্রতিনিধি,পটুয়াখালী

প্রকাশিত: ৯ অক্টোবর, ২০২৪ ১৫:২৮

আপডেট: ৯ অক্টোবর, ২০২৪ ১৫:২৮

শেয়ার

কুয়াকাটায় জিও ব্যাগ সৌন্দর্য নষ্টের সাথে পরিনত হয়েছে মরণ ফাঁদে
কুয়াকাটায় জিও ব্যাগ পরিনত হয়েছে মরণ ফাঁদে। ছবি: বাংলা এডিশন

পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে জিরো পয়েন্টের দুদিকে প্রায় এক কিলোমিটার জুরে জিও টিউব এবং জিও ব্যাগ এখন পর্যটকদের মরণ ফাঁদে পরিনত হয়েছে। ২০১৮ সালের শেষের দিকে। পাউবোর উদ্যোগে সৈকত রক্ষায় জিও টিউব এবং জিও ব্যাগ বসানোয় হলেও তবে এর কোনোই সুফল মিলছে না। বরং

বিপজ্জনক ছোটো-বড় গর্ত সৃষ্টি হয়ে। এই গর্ত এখন আগত পর্যটকদের ভোগান্তির চরম বিপাৎজনক  কেন্দ্রস্থলে পরিনত হয়েছে।

উপজেলা প্রশাসন এবং পাউবোর কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে, ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা জিও টিউব এবং জিও ব্যাগ অপসারণের কথা বললেও, কখন কত তারিখে করবে তেমন কোনো নিশ্চয়তা দেননি।

বুধবার সরেজমিনে দেখা গেছে, ভাটার সময় থাকে ছিন্নভিন্ন বিশৃঙ্খলা পরিবেশ ও গর্তে কোমর সমান পানি জমে থাকে। খাঁদে মানুষের স্বাভাবিক চলাফেরায়ও বেগ পেতে হয় এবং অনেক পুরনো হওয়ায় জিও টিউব এবং জিও ব্যাগে শ্যাওলা পড়েছে চলতে গিয়ে স্লিপ খেয়ে পড়ে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটছে অহরহ।

জানা গেছে, কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের জিরো পয়েন্টে প্রধান কেন্দ্রস্থলের দক্ষিন-পূর্ব ও পশ্চিম দিকে পাঁচ কিলোমিটারের মধ্যে কোনো বনাঞ্চল নেই। মাত্র দেড় কিলোমিটার সৈকতের তীর রক্ষাকল্পে বালু ভর্তি জিও ব্যাগ এবং জিও টিউব বসিয়েছিলো পাউবো কতৃপক্ষ।

পর্যটকরা অনেকেই জোয়ারে সময় প্রথমবার সৈকতে গিয়ে কোনো ধারনা ছাড়াই গোসলে নেমে অনাকাঙ্খিত দুর্ঘটনার শিকার হয়। এসব সমস্যা গুলো তুলে ধরার জন্য সমুদ্র সৈকতে নেই কোনো সচেতনতামূলক সাইনবোর্ড কিংবা জরুরী নির্দেশিত কোনো চিহ্ন।

কুয়াকাটা বীচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্য সচিব (ইউএনও) মো. রবিউল ইসলাম বাংলা এডিশনকে জানান, ‘ ‘বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত রয়েছি এবং সরজমিনে গিয়ে বিষয়টি  লক্ষ্য করলাম, তিন চার বছর আগের জিও টিউব এবং জিও ব্যাগ বালুর সাথে মিশে আছে, এতে সৈকতের সৌন্দর্য নষ্ট হচ্ছে এবং পর্যটকদের চলাফেরা করতে বিঘ্ন করছে। আমি পাউবোর কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছি ব্যবস্থা নেয়ার জন্য।

পাউবোর কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী খালিদ বিন ওয়ালিদ বাংলা এডিশনকে জানান, ‘সৈকত রক্ষায় অস্থায়ীভাবে এ পরিকল্পনায় কিছুটা বালুক্ষয় রোধ হচ্ছে। তবে পুরনো কিছু জিও টিউব এবং জিও ব্যাগ রয়েছে অতি দ্রুত তুলে নেয়া হবে। নতুন করে ভাঙ্গন রক্ষায় কাজ করবো।