রবিবার

২৪ নভেম্বর, ২০২৪
৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১
২২ জামাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

মধ্যরাত থেকে ২২ দিনের জন্য মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা

প্রতিনিধি, পটুয়াখালী

প্রকাশিত: ১১ অক্টোবর, ২০২৪ ২১:৪৯

আপডেট: ১১ অক্টোবর, ২০২৪ ২১:৫০

শেয়ার

মধ্যরাত থেকে ২২ দিনের জন্য মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা
ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা শুরু। ছবি: বাংলা এডিশন

ইলিশ রক্ষায় বিজ্ঞানভিত্তিক প্রজনন সময় বিবেচনা করে আশ্বিন মাসের পূর্ণিমাকে ভিত্তি ধরে প্রতিবছর ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে সরকার।

বঙ্গোপসাগরে সোমবার মধ্যরাত থেকে নিষেধাজ্ঞা চলবে ৩ নভেম্বর মধ্যরাত পর্যন্ত। এই জন্য ঘাটে ফিরতে শুরু করছেন জেলেরা।

এ সময় দেশব্যাপী ইলিশ পরিবহণ, ক্রয়-বিক্রয়, মজুদ ও বিনিময় নিষিদ্ধ থাকবে এবং একই সঙ্গে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান বাস্তবায়ন করা হবে।

প্রতি বছর এই সময়ে মা ইলিশ ডিম ছাড়ার লক্ষে সাগর থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে বঙ্গোপসাগরের আসপাশের ছোট বড় নদীতে ছুটে আসে। এই সময়কে বিবেচনা করে প্রতি বছরের ন্যায় এই বছরও ২২ দিন ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ করেছে সরকার।

উক্ত আইন অমান্যকারীর এক থেকে সর্বোচ্চ দুই বছরের জেল অথবা সর্বোচ্চ পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ড হতে পারে। ২২ দিনের এমন কর্মহীন সময়ে জেলেদের জন্য দেয়া হচ্ছে প্রণোদনা। তবে প্রদেয় এ প্রণোদনা বাড়ানোসহ নির্ধারিত সময়েই তা প্রকৃত ইলিশ শিকারিদের মাঝে বিতরণের দাবি জেলেদের।

মৎস্য আহরণ ও ক্রয় বিক্রয়ের সাথে জড়িত নেতারা বলেন, ইলিশ যেন অন্য কোনো দেশে অবৈধভাবে যেতে না পারে বা প্রতিবেশী দেশের কোনো জাহাজ বা ট্রলার আমাদের দেশের সীমানায় প্রবেশ করে আহরণ করতে না পারে সেজন্য নৌ-বাহিনী, কোস্টগার্ডসহ সংশ্লিষ্টদের কঠোরভাবে মনিটরিং করতে হবে। আমাদের ইলিশ বিশ্বের অন্যতম সুস্বাদু মাছ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। আমাদেরই ইলিশ মাছ সংরক্ষণ করতে হবে। কারণ দেশের মানুষের খাবারের মেনুতে ইলিশ মাছ নিশ্চিত করতে হবে।

আব্দুর রব নামের একজন বলেন, এখন পর্যন্ত ইংলিশ মাছের পেটে পরিপক্ক ডিম আসেনি। নিষেধাজ্ঞা সঠিক সময় হয়নি। আরো কিছুদিন পরে দিলে মাছের পেটে ডিম আসত।

আলীপুরের এফবি শুকতারা ট্রলারের মাঝি কবির জানান, আমদের দেশে যখন নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়, ভারতীয় এবং মিয়ানমারের জেলেরা তখন মাছ শিকার করে। আলোচনা করে যদি একই সময়ে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয় তাহলে আমাদের জন্য ভালো হয়।

আলীপুর মৎস্য আড়ৎ আনিসা এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মো. আনিসুর রহমান মামুন বাংলা এডিশনকে বলেন, মা ইলিশ সংরক্ষণ করা গেলে বাড়বে ইলিশের উৎপাদন, যার সুফল ভোগ করবেন জেলেসহ ব্যবসায়ীরা। ফলে জেলেরা বুঝতে পেরে কোনো জেলেই এখন আর নিষেধাজ্ঞাকালীন মাছ শিকার করতে যাচ্ছে না। তবে এ সময়ে জেলেদের যে সহায়তা দেয়া হয়, তা খুবই অপ্রতুল। তাই জেলেদের সহায়তা বাড়ানো উচিত বলে আমি মনে করি।

কলাপাড়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহ বাংলা এডিশনকে জানান, বিগত কয়েক বছরে ইলিশ প্রজনন মৌসুমে মৎস্য শিকারের ওপর নিষেধাজ্ঞার ধারাবাহিকতায় সাগরে বেড়েছে ইলিশসহ নানা প্রজাতির মাছ। নিষেধাজ্ঞা সফল করতে জেলেদের নিয়ে উঠান বৈঠকসহ চলছে ধারাবাহিক গণসংযোগ।