রাজশাহীতে কৃষকদের মাঝে সরকারি আলুর বীজ সরবরাহ নিয়ে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে বাংলাদেশ কৃষি কর্পোরেশনের রাজশাহী শাখার প্রতি।
ইতিমধ্যেই চাষীদের একটি সংগঠন লিখিত অভিযোগ দিয়েছে বিএডিসি রাজশাহী উপ- সহকারি পরিচালক আব্দুল কাদেরের বিরুদ্ধে ।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, - বিএডিসিতে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী চুক্তিবদ্ধ চাষীদের উৎপাদিত আলু বীজ সরবরাহ করার চুক্তি রয়েছে।
তবে চাষীদের কাছ থেকে প্রতি বস্তায় ৫০ কেজির স্থলে ৫৩ কেজি করে আলু বীজ সরবরাহ করতে বাধ্য করেছেন উপসহকারী পরিচালক আব্দুল কাদের । বস্তাপ্রতি এই ৩ কেজি এক প্রকার জোরপূর্বকই নিয়ে নেয়া হতো।
কতৃপক্ষ সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজশাহী অঞ্চলের আওতাধীন চাষীরা এই বছর সর্বমোট ১ হাজার ৭০০ মেট্রিক টন আলুবীজ সরবরাহ করেছে বিএডিসিতে।
যদি মেট্রিক টনপ্রতি ২০ বস্তা আলুবীজ হলে ১৭০০ মেট্রিক টনে ৩৪,০০০ বস্তা আলুবীজ হয়। আর এই ৩৪ হাজার বস্তার প্রতিটিতে ৩ কেজি অতিরিক্ত আলুকে পৃথকভাবে হিসাব করলে ১ লক্ষ ২ হাজার কেজি আলুর বীজ বের হয়ে আসে। যা কিনা চুক্তিবহির্ভূতভাবে উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুল কাদের জোরপূর্বক আদায় করেছিলেন চাষীদের থেকে।
অতিরিক্ত ঐ ১ লক্ষ ২ হাজার কেজি আলুর বর্তমান বাজার মূল্যে ৫১ লক্ষ টাকার একটি বিশাল অংক। যদিও বর্তমান বাজারে কখনো কখনো ৫৬ থেকে ৬০ টাকায়ও বিক্রি হচ্ছে।
অবাক করা বিষয় হচ্ছে, লক্ষ্যমাত্রা পূরণের অজুহাতে বস্তাপ্রতি অতিরিক্ত ৩ কেজি করে বীজ নিয়ে অর্ধকোটি টাকা নিজ পকেটে ভরলেও অতিরিক্ত গ্রহণের জন্য একটি পয়সাও দেননি কৃষকদের।
আনীত অভিযোগের ব্যাপার আব্দুল কাদের বলেন, যেসব চাষী লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী বীজ সরবরাহে ব্যর্থ হয়েছেন শুধু তারাই আমার নামে অভিযোগ করেছেন। পাশাপাশি বস্তাপ্রতি ৩ কেজি আলু অতিরিক্ত গ্রহণের অভিযোগটি অস্বীকার করেছেন কাদের।
এ বিষয় বাংলা এডিশনের পক্ষ থেকে বিএডিসি রাজশাহী উপপরিচালক গোলাম সরওয়ারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কিছু রিপোর্টার এগুলো লেখালেখি করছে। কিন্তু এরকম কিছু হয়নি। আজও কয়েকজন সাংবাদিক কাদের সাহেবের অফিসে গিয়েছিলো। তাদেরকে সুন্দরভাবে হিসেব দেখিয়ে দিয়েছে।
আরও পড়ুন: