সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার খুকনী ইউনিয়নের ব্রাহ্মণগ্রামে চলছে নদী ভাঙ্গন রোধে বোল্ডার তৈরির কাজ। কথা ছিলো ভালোভাবে পাকা রাস্তা তৈরি করে মালামাল আনা হবে। কিন্তু রাস্তা সংস্কার না করেই এই রাস্তা দিয়ে আনা হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ টন ওজনের পাথরের ও সিমেন্টের ট্রাক।
বৃষ্টি নামলেই রাস্তার কারণে এলাকার মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়েন। প্রায় ৪ হাজার মানুষ ভোগান্তিতে পড়েন।
ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে এলাকার সহজ সরল মানুষকে বুঝিয়েছে যে কাজ শেষে আমরা রাস্তা তৈরি করে দেবো ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, অল্প বৃষ্টির পানিতেই বেহাল অবস্থা আঞ্চলিক সড়কের। ভারি পাথরের ট্রাক চলার কারণে কাদাযুক্ত ছোট বড় গর্তে হয়ে ব্রাহ্মণগ্রাম উত্তর পাড়া থেকে দক্ষিণ পাড়ার আধা কিলোমিটার রাস্তা চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এই রাস্তা দিয়েই অতিকষ্টে যাতায়াত করছে গ্রামের ছোট বড় প্রায় ৪ হাজার মানুষ। এতে চরম দুর্ভোগ পড়েছে হচ্ছে এলাকার স্কুল মাদরাসার ছোট ছোট শিক্ষার্থীরা, ও সাধারণ পথচারীদের। বৃষ্টির পানিতে কাদা জমে থাকায় যান চলাচল তো দূরে থাক, নিরাপদে হাঁটতেও পারেন না বাসিন্দারা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, এখানে নদীর ভাঙ্গন রোধ করার জন্য বোল্ডারের কাজ চলছে। আগে বলা হয়েছিল যে এখানে নতুন রাস্তা করে মালামাল আনা হবে। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান আশ্বাস দিলেও কাজ করেনি। তারা রাস্তা তৈরি করেনি। মাটির কাঁচা রাস্তা দিয়েই ২৫ থেকে ৩০ টনের ওজনের গাড়ি এনে আমাদের রাস্তা অনেক ক্ষতি করেছে। ফলে পাকা রাস্তা যেন স্বপ্নই থেকে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাবু ঠিকাদার মোবাইল ফোনে বলেন, আমি রাস্তা সংস্কার করে দিয়েছি। কিন্তু রাস্তা তৈরি করার ক্ষমতা আমার নেই। তবে সংস্কারের উপরে আছি, যাতে সাধারণ মানুষদের যাতায়াত কষ্ট না হয় বা ট্রাকগুলো যেতে যেনো সমস্যা না হয়। যেখানেই রাস্তা খারাপ হচ্ছে সেখানেই সংস্কার করে দিচ্ছি।
কিন্তু সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ব্রাহ্মণ গ্রামের ভিতর দিয়ে রাস্তাটি প্রায় আধা কিলোমিটার সড়কের পুরোটাই বেহাল অবস্থা। সংস্কারের কথা বললেও সংস্কার করা হয়নি। বিশেষ করে বৃষ্টির দিনে বা বৃষ্টি ছাড়াও এই রাস্তা দিয়ে মানুষের যাতায়াত ব্যবস্থা খুবই কষ্টদায়ক।
এ বিষয়ে শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: