চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বদরগঞ্জ ও নয়মাইল বাজারে সপ্তাহের দুটি পশুহাট হয়। একটি বাজার পরিচালনায় প্রশাসনের অনুমোদন থাকলেও আপরটির অনুমোদন নেই।
একই দিনে দুটি পশুহাট নিয়ে আগে থেকেই ছিলো স্থানীয় কোন্দল। নয়মাইল বাজারে অবস্থিত পশুহাট থেকে কিছু অর্থ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে জমা হলেও দশমাইল বাজারের কোনো অর্থই পায়না সরকার।
টানা তিন মেয়াদে সরকারে থাকা আওয়ামী লীগের স্থানীয় প্রভাবশালী নেতাদের একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণের কারণে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব হারিয়েছে সরকার। আর ওসব টাকা পকেটে ভরেছেন জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ দুই নেতা।
তবে ৫ আগস্ট ক্ষমতার পালা বদলের পর বর্তমানে হাটের নিয়ন্ত্রণকারীরা বলছেন, হাট দুটি সবাই মিলে পরিচালনা করা হচ্ছে। সেই সাথে সরকারের রাজস্বখাতে অর্থ জমা দেয়া হচ্ছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন ও তার ভাই জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর মেয়র রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন পরিকল্পনা মাফিক মামলা করে এই হাটের ইজারা বন্ধ রেখে খাশ খাস কালেকশনে করতেন। সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিতে খাস কালেকশন শুরু করা হয়। পশুহাট সংশ্লিষ্ট একটি সুত্র বলছে, বছরে এই হাট থেকে অন্তত দুই কোটি টাকার রাজস্ব আয় করতো সরকার।
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, ওই হাটের ইজারা হলে বছরে অন্তত দুই কোটি টাকার ডাক হতো। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে হাট থেকে বছরে মোট ১৫ থেকে ১৭ লাখ টাকা মতো জমা দিতেন।
এদিকে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরেই পলাতক চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ছেলুন জোয়ার্দ্দার ও তার ছোট ভাই চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার সাবেক মেয়র টোটন জোয়ার্দ্দার।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নাজিবুল আলম বলেন, ‘দশমাইল বদরগঞ্জ হাটটি আপাতত বন্ধ আছে। ওই হাটটির অনুমোদন আছে কিনা সেটা আমার জানা নেই। তবে বৃহৎ হাটটি বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে নয়মাইলে স্থানন্তর হয়। পুনরায় হাটটি বদরগঞ্জে নেয়ার প্রকৃয়া চলছে, দেখা যাক কি হয়। নয়মাইল হাট থেকে খাস কালেকশনের মাধ্যমে কিছু অর্থ আমাদেরর দফতরে জমা পড়ে।’
আরও পড়ুন: