রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগের দাবিতে বঙ্গভবনের সামনে বিক্ষোভ করেছেন আন্দোলনকারীরা। একপর্যায়ে ব্যারিকেড ভেঙে বঙ্গভবনে ঢোকার চেষ্টা করেন তারা। এ সময় সেনাবাহিনী ও পুলিশ তাদেরকে বাধা দেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বঙ্গভবনের সামনে বিপুল সংখ্যক সেনা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য অবস্থান করছেন।
আজ মঙ্গলবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
এদিকে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর চেষ্টা করলে আন্দোলকারীদের একটি অংশ তাদের ওপর চড়াও হয়। এ সময় বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্যকে মারধর করা হয়। একপর্যায়ে পুলিশ ভ্যানের ওপরও হামলা চালানো হয়। এতে ভ্যানে থাকা পুলিশ সদস্যরা অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন।
এ সময় আন্দোলকারীদের একটি অংশকে পুলিশ সদস্যদের রক্ষা করার চেষ্টা করতে দেখা যায়। তবে অপর অংশটিকে পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা চালাতে দেখা গেছে।
এর আগে, আজ মঙ্গলবার দিনভর বঙ্গভবনসহ রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন হয়েছে। ছাত্র-জনতার ব্যানারে বিভিন্ন প্লাটফর্ম এই কর্মসূচি পালন করে। এ সময় রাষ্ট্রপতিকে পদত্যাগে আল্টিমেটাম দেয়া হয়। সন্ধ্যার পর আন্দোলকারীদের একটি অংশ বঙ্গভবনের সামনে অবস্থান নেয়। এছাড়া, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঢাকার বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে রাষ্ট্রপতির কুশ পুত্তলিকাও দাহ করা হয়।
সম্প্রতি মানবজমিনকে দেয়া সাক্ষাৎকারে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনার পদত্যাগের দালিলিক প্রমাণ তার কাছে নেই। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের এমন মন্তব্য দেশের রাজনীতিতে বেশ উত্তাপ-আলোচনার সৃষ্টি করেছে। এমন মন্তব্যের জেরে শিক্ষার্থীসহ অনেকে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগ দাবি করেন। একপর্যায়ে রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলসহ বিভিন্ন ব্যানারে একাধিক প্লাটফর্ম আন্দোলন শুরু করে। আন্দোলনকারীরা রাষ্ট্রপতির পদত্যাগে আল্টিমেটামও ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: