কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে পদ্মা নদীতে জলদস্যুদের হামলায় দুই পুলিশ কর্মকর্তার মৃত্যু হয়েছে। ১৬ ঘন্টার ব্যবধানে নদী থেকে এএসআই সদরুল আলম ও এএসআই মুকুল হোসেনের মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।
রোববার দিবাগত রাতে উপজেলার কয়া ইউনিয়নের বেড় কালোয়া এলাকায় পদ্মা নদীতে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এতে নৌকা থেকে নদীতে পড়ে নিখোঁজ হয়েছিলেন পুলিশের দুই সহকারী উপপরিদর্শক। তাদের মধ্যে মঙ্গলবার বিকেল ৩টার দিকে কুমারখালী উপজেলার শিলাইদহ এলাকায় নদী থেকে সদরুল আলমের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
১৬ ঘন্টার ব্যবধানে বুধবার সকাল ৭টার দিকে পাবনার সুজানগর উপজেলার মোহনগঞ্জ এলাকায় নদী থেকে এএসআই মুকুল হোসেনের মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমারখালী থানার ওসি নজরুল ইসলাম।
ওসি নজরুল ইসলাম বলেন, ‘রোববার দিবাগত রাতে মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামিদের গ্রেফতারের জন্য পদ্মার ওপারে চর সাদীপুর এলাকায় ছয়সদস্য বিশিষ্ট পুলিশের একটি টিম অভিযানে যাচ্ছিলো। এ সময় পদ্মা নদীতে তাদের উপর হামলা করে জলদস্যুরা। জলদস্যুদের হামলায় পুলিশের দুই এএসআই এর মৃত্যু হয়েছে। ১৬ ঘন্টার ব্যবধানে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে।’
নিহত সদরুল আলম ও মুকুল হোসেন কুমারখালী থানার এএসআই পদে কর্মরত ছিলেন।
কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার (এসপি) মিজানুর রহমান বলেন, ‘ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি ধরতে গিয়েছিলেন ওই পুলিশ সদস্যরা। কীভাবে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে তদন্ত করা হচ্ছে। এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
আরও পড়ুন: