শনিবার

২৩ নভেম্বর, ২০২৪
৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১
২২ জামাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

দুটি প্রতিষ্ঠান থেকে সরকারি বেতন নেন উপজেলা পরিষদের পিয়ন

প্রতিনিধি, মেহেরপুর

প্রকাশিত: ১ নভেম্বর, ২০২৪ ১৭:২৭

শেয়ার

দুটি প্রতিষ্ঠান থেকে সরকারি বেতন নেন উপজেলা পরিষদের পিয়ন
উপজেলা পরিষদের পিয়ন শাহিন বাপ্পি। ছবি: বাংলা এডিশন

মেহেরপুর সদর উপজেলা পরিষদের পিয়ন শাহিন বাপ্পি। অন্যদিকে দিন হাজিরায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের গাড়িচালকও হিসেবে বেতন উত্তোলন করছেন তিনি। তাকে বেতন উত্তোলনে সার্বিক সহযোগিতা করে যাচ্ছেন মেহেরপুর সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের অফিস সহায়ক হাসানুজ্জামান।

জানা গেছে, ২০১৮ সাল থেকে শাহিন বাপ্পি দৈনিক বেতনে মেহেরপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের গাড়িচালক হিসেবে ৫৫০ টাকা হাজিরায় কর্মরত রয়েছেন। পরে তিনি ২০২৪ সালে ০৪ এপ্রিল উপজেলা পরিষদের পিয়ন (২০ তম গ্রেড) পদে কর্মরত রয়েছেন।

চাচা ইসরাফিল হোসেনের নাম ব্যবহার করে প্রতিনিয়তই তুলে যাচ্ছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসারের গাড়িচালকের বেতন ভাতা।

মেহেরপুর সদর উপজেলার পরিষদের চেয়ারম্যানের সিএ আল-আমিন জানান, ৬-৭ মাস ধরে শাহিন বাপ্পি চেয়ারম্যান অফিসের ২০ তম গ্রেডে কর্মরত রয়েছেন। নিয়মিত অফিস করেন কিনা এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি কোন সদুত্তর দেননি।

মেহেরপুর সদর উপজেলার হিসাব সহকারী হাসানুজ্জামান জানান, শাহিন বাপ্পি চেয়ারম্যান অফিসের পিয়ন ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের গাড়িচালক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। তবে তিনি গাড়ি চালকের বেতন নেন না। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখতে চাইলে তিনি এ বিষয়ে অপারগতা জানান। সাংবাদিকদের সাথে প্রশ্ন উত্তরের একপর্যায়ে সরকারি দুই স্থান থেকে বেতন উত্তোলনের কথা স্বীকার করেন হাসানুজ্জামান।

এ বিষয়ে শাহিন বাপ্পির সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, চেয়ারম্যান অফিস ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের ড্রাইভার হিসেবে দুই স্থান থেকে তিনি বেতন উত্তোলন করেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের ড্রাইভার এর বেতন উপজেলা নির্বাহী অফিসার তার নিজের পকেটে রেখে দেন সেখান থেকে কিছু অংশ টাকা দেন বলে সাংবাদিকদের জানান। তবে তিনি নিজের আপন চাচা ইসরাফিল হোসেনকে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের ড্রাইভার হিসেবে দাবী করেন। শাহিন বাপ্পির দেয়া ইসরাফিল হোসেনের মোবাইল নাম্বারে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও সে নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়।

মেহেরপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) গাজী মূয়ীদর রহমান ও মেহেরপুর জেলা প্রশাসক সিফাত মেহানাদের সাথে এ বিষয়ে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তারা ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি হননি।