কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে প্রায় ৪ মাস পর লাল-হলুদ পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে। শীত মৌসুমে সাগর ধীরে ধীরে শান্ত হতে শুরু করায় লাল পতাকার পরিবর্তে লাল-হলুদ পতাকা টাঙানো হয়েছে। এতে স্বস্তি নেমেছে সমুদ্র নগরীতে। তবে সমুদ্রে গোসলে নামার আগে মানতে হবে লাইফগার্ডের নির্দেশনা। সমুদ্রে বিপদ বুঝাতে টাঙানো হয় লাল পতাকা এবং নিরাপদ বুঝাতে টাঙানো হয় লাল-হলুদ পতাকা।
শুক্রবার বিকেলে সৈকতের কলাতলী, সুগন্ধ্যা ও লাবণী পয়েন্টে লাল পতাকার পরিবর্তে লাল-হলুদ পতাকা টাঙানো হয় সি সেইফ লাইফগার্ডের পক্ষ থেকে।
সি সেইফ লাইফগার্ডের সুপারভাইজার সিনিয়র লাইফগার্ড সিফাত উল্লাহ সিফাত জানিয়েছেন, সমুদ্র সৈকতের সর্বশেষ জুলাইয়ে লাল-হলুদ পতাকা টাঙানো হয়েছিলো। বর্ষা মৌসুমে সাগর যখন উত্তাল ছিলো তখন লাল-হলুদ পতাকার পরিবর্তে লাল পতাকা টাঙানো হয়েছিলো। এখন শীত মৌসুমে ধীরে ধীরে শীতল হতে শুরু করেছে সমুদ্র। তাই লাল-হলুদ পতাকা টাঙানো হয়েছে। যদি সমুদ্রে কোন বিপদ সংকেত বা লঘুচাপ সৃষ্টি হয় তখন আবারো লাল পতাকা টাঙানো হবে।
সৈকতে গোসলে নামা পর্যটকরা লাল পতাকার পরিবর্তে লাল-হলুদ পতাকা উত্তোলন করায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন। তারা বলছেন, লাল পতাকা দেখলেই ভয় লাগে। এখন লাল-হলুদ পতাকা দেওয়ায় একটু শান্তি লাগছে।
রংপুর থেকে ঘুরতে আসা পর্যটক সুমন মিয়া বলেন, দুইদিন আগে কক্সবাজারে ঘুরতে এসেছি। গোসলে নামার জন্য সুগন্ধা পয়েন্টে এসে দেখি লাল পতাকা টাঙানো আছে। এতে আমার ভয় লাগে। তখন লাইফগার্ড থেকে জিজ্ঞেস করলে তারা বলে দেন নির্দেশনা। আজ দুইদিন পর গোসল করলাম।
শ্রমণী শর্মা গোসলে নেমেছেন লাবণী পয়েন্টে। তিনি বলেন, খুবই ভালো লাগছে দীর্ঘদিন পর শুনলাম সমুদ্র সৈকত গোসলের জন্য নিরাপদ। আগে লাল পতাকা টাঙানো হতো কিন্তু এখন লাল-হলুদ পতাকা টাঙানো হয়েছে। এটা দেখেও ভালো লাগছে।
তবে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে এসে যেখানে সেখানে গোসলে নামা যাবে না। সৈকতের ৩ টি মূল পয়েন্ট কলাতলী, সুগন্ধা ও লাবণীতে গোসলের জন্য আলাদা জোন আছে যেখানে লাইফগার্ড সেবা রয়েছে। লাইফগার্ডরা ওয়াচটাওয়ার থেকে সার্বক্ষনিক পর্যটকদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করেন। কোন বিপদে পড়লেই প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত দক্ষ লাইফগার্ড ছুটে যান সমুদ্রে।
আরও পড়ুন: