শনিবার

২৩ নভেম্বর, ২০২৪
৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১
২২ জামাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

মেহেরপুরে আন্ত: জেলা ডাকাত দলের তিন সদস্য গ্রেপ্তার

মেহেরপুর প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১৫:৩৯

শেয়ার

মেহেরপুরে আন্ত: জেলা ডাকাত দলের তিন সদস্য গ্রেপ্তার
গ্রেপ্তারকৃত ডাকাত। ছবি : বাংলা এডিশন

মেহেরপুরে আন্ত: জেলা ডাকাতদলের ৩ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে গােয়েন্দা পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- রাজবাড়ি জেলার পাংশা থানার সেনপাড়া কালিতলা বাজার এলাকার আলতাব মন্ডল (৫৩),চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার বড়বােয়ালিয়া গ্রামের রমজান আলী ওরফে রমজান ডাকাত (৬০) ও একই উপজেলার জেহালা গ্রামের আসাদুল ইসলাম ওরফে শরিফুল (৩৬)।

শনিবার সকাল ১১টার দিকে মেহেরপুর পুলিশ সুপার মাকসুদা আখতার খানম তার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ সুপার জানান, গেল ২ নভেম্বর রাত সাড়ে ৩ টার দিকে ডাকাত দলের সর্দার আলতাব হোসেন তার সদস্যদের নিয়ে মেহেরপুর-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহা সড়ক ব্যারিকেড দিয়ে ড্রামট্রাক, আলমসাধু, হানিফ পরিবহন সহ অন্যান্য যানবাহনের গতিরোধ করে। গাড়ির চালক, হেলপার ও সাধারণ যাত্রীদের দেশীয় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তাদের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা লুট করে নেয়। এছাড়া ড্রাম ট্রাকের একজন ড্রাইভার এবং একজন হেলপারকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জন ডাকাতদের বিরুদ্ধে গাংনী থানার একটি মামলা দায়ের করা হয়।

এর আগেও ডাকাত দলের সদস্যরা দুরপাল্লার পরিবহণের চালকদের জিম্মি করে নগদ অর্থ লুট করে। 

ঘটনার পর থেকেই মামলার মূল রহস্য উৎঘাটনে অভিযানে নামে গাংনী থানা পুলিশ, জেলা গোয়েন্দা শাখা ও সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ৪৮ ঘন্টার মধ্যে সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল মামলার মূল রহস্য উৎঘাটন করতে সক্ষম হয়। 

গেল ৫ নভেম্বর জেলা গোয়েন্দা শাখা ও সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেলের আরো একটি যৌথ অভিযানে ডাকাত দলের সর্দার আলতাফ মন্ডলকে রাজবাড়ি জেলার পাংশা থানার সেনপাড়া কালিতলা বাজার হতে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে নগদ ৭০০ টাকা ও তার ব্যবহৃত মুঠোফোনটা জব্দ করা হয়। তার বিরুদ্ধে জেলার বিভিন্ন থানায় ৮ টি ডাকাতি মামলা ও একটি অস্ত্র মামলা রয়েছে।

পরবর্তীতে গেল ৬ নভেম্বর জেলা গোয়েন্দা শাখা এবং সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেলের দলটি অভিযান চালায় চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা থানার বড়বোয়ালিয়া গ্রামে। পরে ঐ গ্রাম থেকে রমজান ডাকাত ও আসাদুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে। রমজানের বিরুদ্ধে একটি ডাকাতি মামলা ও একটি চুরির মামলা রয়েছে। পরে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারগারে প্রেরণ করা হয়।

আসামীরা আদালতে ১৬৪ ধারা মোতাবেক দোষস্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীও প্রদান করেন। 

পুলিশ সুপার আরো বলেন, ডাকাতি ও ছিন্তাইরোধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। পাশপাশি টহল জোরদার করা হচ্ছে। বিভিন্ন স্থানে চেকপোস্ট ও লাইটের ব্যবস্থা করতে পারলে অপরাধ অনেকাংশে কমিয়ে আনা সম্ভব হবে বলেও তিনি জানান।