শনিবার

২৩ নভেম্বর, ২০২৪
৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১
২২ জামাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

সিরাজগঞ্জে স্বাস্থ্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সাংবাদিক নির্যাতনের অভিযোগ, বুম ভাংচুর

প্রতিনিধি,সিরাজগঞ্জ

প্রকাশিত: ১২ নভেম্বর, ২০২৪ ১১:৩৮

আপডেট: ১২ নভেম্বর, ২০২৪ ১১:৩৮

শেয়ার

সিরাজগঞ্জে স্বাস্থ্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সাংবাদিক নির্যাতনের অভিযোগ, বুম ভাংচুর
সাংবাদিকের বুম কেড়ে নিয়ে ভেঙ্গে ফেললেন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা। ছবি: বাংলা এডিশন

সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নানা অনিয়মের বিষয়ে প্রতিবেদন তৈরি করতে গিয়ে রোগীর বক্তব্য নেয়ার সময় উপস্থিত সাংবাদিকের মাইক্রোফোন, স্ট্যান্ড ও মোবাইল কেড়ে নিয়ে ভেঙ্গে ফেলার অভিযোগ ওঠেছে এক স্বাস্থ্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। 

অভিযুক্ত ওই কর্মকর্তা হলেন- সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মোমেনা পারভীন পারুল।

সোমবার বিকেলে কাজিপুর ৩১ শয্যা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে টিকিট কাউন্টারের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

এ সময় ক্যামেরা স্ট্যান্ড দিয়ে মুকুল হোসেন নামে এক সাংবাদিককে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে।  খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

স্থানীয়রা জানান, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে এডহক থেকে মেডিকেল অফিসার পদে নিয়োগ পেয়ে মোমেনা পারভীন পারুল ২০২০ সালে কাজিপুর উপজেলার ভারপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার দায়িত্ব পান। এই পদে থেকে বিগত ৫ বছর ধরে তিনি অনিয়ম-দুর্নীতি করে আসছেন। এ ছাড়াও দায়িত্ব পালনকালে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমকে পিতা বানিয়ে ব্যাপক দাপটে চলেছেন এই কর্মকর্তা। এ-সংক্রান্ত সংবাদও বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।

এসব নিয়ে প্রতিবেদন তৈরি করতে সোমবার বিকেলে এশিয়ান টিভির কাজিপুর উপজেলা প্রতিনিধি রাব্বি হাসান হৃদয় ও দৈনিক সরেজমিন বার্তা পত্রিকার রিপোর্টার মুকুল হোসেন হাসপাতাল যান। তারা রোগী ও স্বজনদের সাক্ষাৎকার নিচ্ছেন এমন খবর পেয়ে ডা. মোমেনা পারভীন পারুল নিজের কক্ষ থেকে বের হয়ে প্রথমে তাদের মাইক্রোফোন কেড়ে নেন। এরপর ক্যামেরা স্ট্যান্ড কেড়ে নিয়ে ভেঙে ফেলেন এবং ভিডিও তোলার কাজে ব্যবহৃত মোবাইল ফোনও কেড়ে নেন।

এশিয়ান টেলিভিশনের কাজিপুর প্রতিনিধি রাব্বি হাসান হৃদয় বলেন, ‘কাজিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অনিয়ম ও দুর্নীতি নিয়ে ভিডিও প্রতিবেদন তৈরি করতে সেবা গ্রহীতাদের ভিডিও সাক্ষাৎকার নিচ্ছিলাম। এ সময় ডা. মোমেনা পারভীন পারুল পেছন থেকে অতর্কিতভাবে ধাক্কা দেন। তিনি বুম, স্ট্যান্ড কেড়ে নিয়ে ভেঙে ফেলেন এবং ভিডিওর কাজে ব্যবহৃত মোবাইল ফোন কেড়ে নেন। ক্যামেরা স্ট্যান্ড দিয়ে তিনি সাংবাদিক মুকুল হোসেনকে বেধড়ক মারধর করেন।’

এ বিষয়ে বক্তব্য নিতে ডা. মোমেনা পারভীন পারুলকে বারবার ফোন দিলেও রিসিভ করেননি।

কাজিপুর থানার ওসি নুরে আলম বলেন, ‘কাজিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সাংবাদিকদের সঙ্গে একটি ভুল বোঝাবুঝির ঘটনায় দুইপক্ষের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ বিষয়ে কেউ অভিযোগ করলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব।’