গাজর আবাদের জন্য মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইরের সুনাম রয়েছে দীর্ঘদিনের। বর্তমানে দেশের মোট গাজর আবাদের ৩৪ শতাংশ গাজর সিঙ্গাইর উপজেলায় আবাদ হয়। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে গাজরের বীজের ডিলাররা সিন্ডিকেট করে কৃষকদের কাছ থেকে গলাকাটা দাম নিচ্ছেন। ট্যাকি সীড গাজরের বীজের নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে প্রতিকেজি বীজে ৩ হাজার টাকা থেকে শুরু করে প্রায় ১২ হাজার টাকা পর্যন্ত অতিরিক্ত দাম নেয়ার অভিযোগ রয়েছে।
বীজের সিন্ডিকেটের কারণে গাজর আবাদের আগ্রহ হারাচ্ছেন চাষিরা। এবিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন কৃষকরা।
মানিকগঞ্জ জেলার মধ্যে একমাত্র সিঙ্গাইর উপজেলায় গাজর আবাদ হয়। প্রতিবছর প্রায়ই ১০০০ হেক্টর জমিতে গাজর আবাদ হয়।
এ উপজেলার উৎপাদিত গাজর ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সরবরাহ হয়ে থাকে। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট গাজরের বীজের অতিরিক্ত দাম নিচ্ছেন। ১ কেজি ট্যাকি সীড গাজরের বীজের প্যাকেটের মূল্যে লেখা ২৩,০০০ টাকা তবে ডিলারদের কাছ থেকে কিনতে হচ্ছে ২৬,৫০০ টাকা থেকে শুরু করে ৩৫,০০০ টাকা পর্যন্ত। এতে প্রতি কেজি গাজরে ৩ হাজার টাকা থেকে শুরু করে প্রায় ১২ হাজার টাকা পর্যন্ত অতিরিক্ত নেয়া হচ্ছে। এতে ক্ষোভ জানিয়েছেন স্থানীয় গাজর চাষিরা।
জয়মন্টপ এলাকার গাজর চাষি মোকসেদ আলী বলেন, ‘৪ বিঘা জমিতে গাজর আবাদ করেছি। গাজরের বীজের প্যাকেটে মূল্য লেখা ২৩,০০০ টাকা, কিনতে হয়েছে ২৬,৫০০ টাকা দিয়ে। ডিলার আবু বক্কর সিদ্দিক সিন্ডিকেট করে অতিরিক্ত টাকা নিচ্ছে।’
আজিমপুরের কৃষক রঞ্জিত বলেন, ‘এ বছর ৮ বিঘা জমিতে গাজর আবাদ করেছি। অতিরিক্ত দাম দিয়েও শেষে বীজ পাওয়া যায়নি। বীজ পাওয়া গেলে আরও দুই বিঘা জমিতে গাজর আবাদ করতাম।’
এ বিষয়ে কথা বলতে গাজরের বীজের ডিলার আবু বক্কর সিদ্দিকের দোকানে গেলে দোকান বন্ধ পাওয়া যায়। তার মোবাইল ফোনে একাধিক বার কল করলেও তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কামরুল হাসান সোহাগ বলেন, ‘গাজরের বীজে নির্ধারিত মূল্যের অতিরিক্ত নেয়ার সুযোগ নেই। যারা এই সিন্ডিকেটের সাথে জড়িত তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। যদি কোনো ডিলার সিন্ডিকেটের সাথে জড়িত থাকে প্রয়োজনে তার ডিলার বাতিল করা হবে।’
আরও পড়ুন: