চট্টগ্রামের দোহাজারি থেকে কক্সবাজার রেলপথ উদ্বোধন হয় ২০২৩ সালের ১১ নভেম্বর। একই সাথে সেদিন ২১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত দেশের একমাত্র আইকনিক রেলস্টেশনেরও উদ্বোধন করা হয়। এরমধ্য দিয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ে নেটওয়ার্কের ৪৮তম জেলা হিসেবে যুক্ত হয় কক্সবাজার। এক বছর পূর্ণ হয়েছে ১১ নভেম্বর।
৩৬৫ দিন আগে আইকনিক স্টেশনটি চালু হলেও এটির কার্যক্রম পুরোপুরি চালু হয়নি। এতেই নিজেদের সেবা বঞ্চিত হবার কথা জানিয়েছে কক্সবাজারবাসী। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কক্সবাজারে নির্মিত চোখ জুড়ানো অসাধারণ নির্মাণশৈলী আর কারুকাজের এই আইকনিক রেলস্টেশন। যা নির্মিত হয় ২৯ একর জমির ওপর। আইকনিক স্টেশন নিয়ে আক্ষেপ থাকলেও প্রথম বছরেই চমক দেখিয়েছে।
এ রুটে চলাচল করা প্রথম ট্রেন কক্সবাজার এক্সপ্রেস। এ বছরে কোচটির আয় হয়েছে ৩৭ কোটি টাকা। যাত্রী চাহিদার তুঙ্গে থাকায় আয়ের শীর্ষে থাকার সফলতা বাড়ছে।
যাত্রীরা বলছেন, ট্রেন যোগাযোগ ব্যবস্থা ঝামেলামুক্ত ও আরামদায়ক হওয়ায় ভ্রমণ পিপাসুদের পছন্দের তালিকায় অন্যতম একটি বাহন হচ্ছে ট্রেন ভ্রমণ। ট্রেনে কক্সবাজার যাত্রা স্বস্তিদায়ক বলছেন পর্যটকরা।
কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত থেকে ৩ কিলোমিটার দূরে ২১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত আইকনিক রেল স্টেশনে ধরা পড়ছে নানা ত্রুটি। বৃষ্টি পড়লেই স্টেশনের ভেতরে বেশ কয়েকটি অংশে পড়ছে বৃষ্টির পানি। আর আইকনিক স্টেশনের ছাদের পানিতে সয়লাব হচ্ছে প্লাটফর্ম। যার কারণে দূর্ভোগ পোহাচ্ছে যাত্রীরা। এ ছাড়াও নেই পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা। এ বিষয়ে সহকারী স্টেশন মাস্টার মেহেদী হাসান জনবল সংকটের কথা বলেন।
রেলওয়ের বাণিজ্যিক ও মার্কেটিং বিভাগে হিসাব অনুযায়ী, ঢাকা থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত একটি ট্রেন পরিচালনা করতে রেলের পরিচালন ব্যয় প্রায় ৫ লাখ টাকা। আর ঢাকা-কক্সবাজার রুটে প্রতিটি ট্রিপে আয় হয় গড়ে ৭-৮ লাখ টাকা। সে হিসাবে প্রতি ট্রিপে ২-৩ লাখ টাকা মুনাফা হয়।
বর্তমানে এ রেলপথে ঢাকা থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত কক্সবাজার এক্সপ্রেস ও পর্যটক এক্সপ্রেস নামের দুটি ও চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ঈদ স্পেশাল নামের আরেকটি ট্রেন চলছে। এর বাইরে ঈদ, পূজাসহ বিভিন্ন উৎসবে বিশেষ ট্রেন পরিচালনা করছে রেলওয়ে।
আরও পড়ুন: