বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে রেলপথের মাধ্যমে বাণিজ্যের অধিকাংশ আমদানি হয়ে থাকে চুয়াডাঙ্গার দর্শনা আন্তর্জাতিক রেলবন্দর দিয়ে। তবে গত তিন মাসে দেশটির সঙ্গে বাংলাদেশের আমদানি বাণিজ্য কমেছে।
বন্দর সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাংলাদেশে সরকার পরিবর্তনের প্রভাব পড়েছে ভারতের সঙ্গে আমদানি বাণিজ্যের ওপর। ফলে দর্শনা রেলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পণ্য আমদানি কমেছে গড়ে অন্তত ৮০ শতাংশ।
দর্শনা আন্তর্জাতিক রেলওয়ে স্টেশন ও কাস্টমসের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২-২৩ অর্থবছরে ১২ লাখ ৩২ হাজার ৬১৬ মেট্রিক টন পণ্য আমদানি হয়েছে। সেখান থেকে ৫৯ কোটি টাকা রাজস্ব আয় হয় সরকারের।
২০২৩-২৪ অর্থবছরে পণ্য আমদানি হয় ৫ লাখ ৭৬ হাজার ৫৫৯ মেট্রিক টন পণ্য। যা থেকে সরকার রাজস্ব আয় করে ২৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকা।
আর ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম চার মাসে ভারত থেকে ৯১ হাজার ৯৭৭ মেট্রিক টন পণ্য আমদানি হয়। যা থেকে রাজস্ব আয় হয়েছে মাত্র ৪ কোটি ১২ লাখ টাকা।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই দুই দেশের মধ্যে একটা অদৃশ্য দূরত্ব তৈরি হয়েছে। দেশে যখন সরকার বিরোধী আন্দোলন হয় তখন সরবরাহ চেইন নির্বিঘ্ন ছিল না। তাছাড়া এই সময় মৌসুমি কিছু পণ্যের আমদানি কম হয়। সব মিলিয়ে দুইদেশের আমদানি-রফতানি কমছে।
এ বন্দরের ব্যবসায়ীদের মতে, ব্যাংক তাদের চাহিদামতো এলসি অনুমোদন করছে না। ফলে তারাও পর্যাপ্ত পণ্য আমদানি করতে পারছেন না। এলসি অনুযায়ী অল্প কিছু পণ্য আমদানি করা হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে দর্শনা আন্তর্জাতিক রেলস্টেশনের সুপারিনটেনডেন্ট মির্জা কামরুল হক বলেন, ‘বর্তমানে ৯০ ভাগ ফ্ল্যাই অ্যাশ আর ১০ ভাগ খৈল জাতীয় পন্য আমদানি হচ্ছে। আমদানি বাণিজ্যে রীতিমতো ভাটা পড়েছে বলা যায়। যার ফলে স্বাভাবিক ভাবেই রাজস্ব আদায় কমেছে।’
আরও পড়ুন: