দিনমজুর বাবার সন্তান মেধাবী শিক্ষার্থী সৈকত ইসলাম। পড়াশোনা করছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আইন বিভাগের প্রথম বর্ষে। পাঁচ ভাই-বোনের পড়াশোনা ও আনুষাঙ্গিক খরচসহ পরিবারের আয়ের একমাত্র উৎস তার বাবা। কিন্তু এক সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে হতদরিদ্র পরিবারের আয়ের পথ বন্ধ হয়ে যায়।
গত ১৭ আগস্ট সৈকতের বাবা জাহিদুর রহমান মারাত্মক সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হন। এতে তার বাবা মাথায় গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হন।
সৈকত জানান, ‘দুর্ঘটনার পর গত ২০ আগস্ট ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার বাবার মাথায় অপারেশন করানো হয়। অপারেশনে তার বাবার মাথার একপাশের বন (খুলি) খুলে রাখা হয়। পরবর্তীতে বন (খুলি) পুনঃস্থাপন করা প্রয়োজন বলে জানান চিকিৎসক। এই চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন এক লাখ টাকা।’
সৈকত আরও জানান, তার বাবার চিকিৎসার খরচ চালানোর মতো অর্থের যোগান দেয়ার সামর্থ্য পরিবারের নেই। এখন পর্যন্ত সকল চিকিৎসার খরচ ঋণের মাধ্যমে বহন করা হচ্ছে। এতে চরম আর্থিক সংকটে পড়ে তার পরিবার। খরচ সামলাতে না পেরে ৮ দিন ঢাকা মেডিকেলে থেকে রিলিজ নিয়ে পরে বগুড়ার শহিদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাস্পাতালে ভর্তি করানো হয় তার বাবাকে।
সৈকত চলমান পরিস্থিতি নিয়ে বলেন, ‘গত তিন মাস ধরে বাবা স্বাভাবিক মানুষের মতো আচরণ করতে পারে না। আগামী সোমবার বাবাকে হাসপাতাল নিয়ে যাবো। অসুস্থতার উন্নতি সাপেক্ষে বাবার মাথার খুলি পুনঃস্থাপন করতে পারে চিকিৎসক। অন্যথায় ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসা করাতে হবে।'
এ সময় তার বাবার জীবন বাঁচানোর জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনসহ সমাজের বিত্তবানদের দারস্থ হয়েছেন সৈকতের পরিবার। সকলকে পাশে দাড়ানোর আকুতি জানান তিনি।
আরও পড়ুন: