মঙ্গলবার

৩ ডিসেম্বর, ২০২৪
১৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১
০২ জামাদিউছ ছানি, ১৪৪৬

অবৈধ সম্পর্কের জেরে ব্যবসায়ীকে দুধের সাথে নেশা জাতীয় দ্রব্য খাইয়ে হত্যা

প্রতিনিধি,নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত: ১৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১৪:২৩

শেয়ার

অবৈধ সম্পর্কের জেরে ব্যবসায়ীকে দুধের সাথে নেশা জাতীয় দ্রব্য খাইয়ে হত্যা
গ্রেফতার রুমা আক্তার। ছবি: বাংলা এডিশন

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে পলিথিনে মোড়ানো ৭ টুকরো লাশের সন্ধান মিলেছে। সেই সাথে হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন করেছে পুলিশ। অবৈধ প্রেমের সম্পর্কের জেরে ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন মাসুমকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচেতন করে জবাই করে হত্যা করা হয়।

বৃহস্পতিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে জেলা পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার এ তথ্য জানান।

পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার বলেন, ‘রূপগঞ্জের পূর্বাচলে জসিম উদ্দিন মাসুমের ৭ টুকরো লাশ উদ্ধার করা হয়। প্রথমে লাশের পরিচয় পাওয়া যায়নি। অজ্ঞাত পরিচয়ের লাশটির পরিচয় পেতে গুলশান থানার একটি জিডির সূত্র ধরে লাশের পরিচয় জানতে পারি। হত্যাকাণ্ডের ভুক্তভোগী হলেন ফতুল্লার চাঁদ ডাইংয়ের মালিক শিল্পপতি জসিম উদ্দিন মাসুম।। তিনি বিবাহিত এবং তার সংসারে সন্তান রয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এই ঘটনায় পুলিশ অনুসন্ধান চালিয়ে এই হত্যাকাণ্ডের মূল আসামি মোসা. রুমা আক্তারকে রাজধানীর শেওড়াপাড়ার ভাড়া বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পরে আসামিকে নিয়ে অভিযান পরিচালনা করে তার দেখানো স্থান থেকে একটি চাপাতি, হেসকো ব্লেড এবং ভুক্তভোগির পরিহিত সাফারি, এক জোড়া স্যু উদ্ধার করা হয়।’

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানান, অবৈধ প্রেমের সম্পর্কের জেরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। রুমার সাথে শিল্পপতি মাসুমের একটা অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে। এর পাশাপাশি এই শিল্পপতি মাসুম অন্য আরেক নারীর সাথে সম্পর্ক গড়ে তুলেছে। এই বিষয়টি জানতে পেরে রুমা রাগে-ক্ষোভে ও আবেগের বশবতি হয়ে তাকে খুন করে।

১০ নভেম্বর রাতে রাজধানীর শেওরাপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। মূলত সেখানে একটি ভাড়া বাড়িতে তারা একত্রিত হতো। প্রথমে তাকে দুধের সাথে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে মাসুমকে অচেতন করা হয়। এর পর চাপাতি দিয়ে জবাই করে লাশ টুকরো টুকরো করা হয়। সেই টুকরো টুকরো অংশ প্রথমে পাঠাও ও পরে সিএনজি ভাড়া করে এগুলো বিভিন্ন স্থানে ফেলা হয়।

গ্রেফতারকৃত রুমা আক্তার ময়মনসিংহের গৌরিপুর থানার তারাকান্দা এলাকার নজর আলীর মেয়ে। মেয়েটি পতিতাবৃত্তির সাথে জড়িত রয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।

এই ঘটনায় আরও দুইজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তারা এই ঘটনায় জড়িত কিনা তা যাচাই  বাছাই করা হচ্ছে। তদন্তের স্বার্থে তাদের নাম পরিচয় প্রকাশ করা হচ্ছে না। এ ঘটনায় রূপগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা হয়েছে।

এদিকে ১২ নভেম্বর গুলশান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী (জিডি) করে নিখোঁজ মাসুম মিয়ার ছেলে ওবায়দুল ইসলাম শিবু। ওই জিডিতে উল্লেখ করা হয়, তার বাবা জসিম উদ্দিন মাসুম গত ১০ নভেম্বর বিকেলে ৪ টার দিকে গুলশান সার্কেল-২ ল্যান্ডভিউ থেকে নিখোঁজ হয়েছে।