চুয়াডাঙ্গায় মুন্নি হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে গোয়েন্দা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়া মানিক আলী মুন্সি (২২) ও তার চাচাতো ভাই পারভেজ মহসিন স্বপন (১৯)।
অভিযুক্ত দুজন মিলেই মুন্নির সাথে শারীরিক সম্পর্কে পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে বলে স্বীকার করেছে তারা। এরআগে গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় দুজনকে আদালতে হাজির করা হয়। জবানবন্দি শেষে পুলিশ প্রহরায় ওই দুজনকে চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগারে নেওয়া হয়।
গ্রেফতারকৃত মানিক আলী মুন্সি চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার হাজরাহাটি শেখপাড়ার টোকন আলী মুন্সির ছেলে ও পারভেজ মহাসিন স্বপন একই এলাকার মইদুল ইসলামের ছেলে।
জবানবন্দিতে মানিক আলী মুন্সি বলেন, মুন্নি কয়েকদিন আগে কৌশলে গাংনীতে তার এক পরিচিত লোকের বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায় আমাকে। সেখানে আমাকে জিম্মি করে ২০ হাজার টাকা নেয়।
টাকা নেওয়ার বিষয়টি প্রতিশোধ নিতে তার সাথে নিয়মিত মোবাইলফোনে যোগাযোগ রাখতাম। এরই ধারাবাহিকতায় ৯ নভেম্বর বিকেলে আলমডাঙ্গা এলাকা থেকে তাকে মোটরসাইকেল যোগে আমার চাচাতো ভাই মিলে চুয়াডাঙ্গায় নিয়ে আসি।
আমার চাচাতো ভাই মোটরসাইকেলটি বাড়িতে রেখে আসে সন্ধ্যায়। আমি ও মুন্নি পান বরজের ভেতরে অবস্থান নিই। মোটরসাইকেল রেখে আমার চাচাতো ভাইও ঘটনাস্থলে আসে। পান বরজের পাশে মেহগুনি বাগানে যাই তিন জনেই।
প্রথমে আমি শারীরিক সম্পর্ক করি। পরে আমার চাচাতো ভাই তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করে। এরপর মুন্নি চুক্তির টাকা চাইলে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী আমরা দুজন মিলেই মুন্নিকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে লাশ ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। মুন্নির ভ্যানিটি ব্যাগে থাকা নগদ টাকা, পায়ের নুপুর ও আংটি নিয়ে নিয়।
এর আগে, গত ৯ নভেম্বর দুপুরে খালেদা আক্তার মুন্নি হাটবোয়ালিয়া বাজারে আসার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন। ওই দিন সন্ধ্যায় তার মায়ের সাথে মোবাইল ফোনে কথা হয় রাতে বাড়ি ফিরবে না বলে। তারপর থেকেই নিখোঁজ ছিল মুন্নি।
এরপর গত বৃহস্পতিবার সকালে সদর উপজেলার মমিনপুর ইউনিয়নের বোয়ালমারী গ্রামের মাঠে একটি মেহগনি বাগানের ভেতর এক নারীর অর্ধগলিত লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে। পরে শনাক্ত হয় মরদেহটি মুন্নির। এ ঘটনায় ওই দিনই মুন্নির মা আহারণ নেছা বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: