চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় সবুজকে মোটরসাইকেলসহ পুড়িয়ে হত্যার রহস্য উদঘাটন হয়েছে। সেই সাথে প্রধান দু'আসামীকে গ্রেফতার করেছে।
র্যাব-১২, সিপিসি-৩, মেহেরপুর ও থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে চাঞ্চল্যকর সবুজ হত্যার রহস্য উদঘাটনসহ প্রধান ২ আসামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
সিপিসি-৩, মেহেরপুর, র্যাব-১২ জানান, চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা থানাধীন বাদেমাজু এলাকার তুষার আহমেদ সবুজ (২০), পিতা-মোঃ জয়নাল শেখ নামের এক ব্যক্তির অগ্নিদগ্ধ মরদেহ আলমডাঙ্গা থানাধীন বেলগাছি ইউনিয়নের কাশীপুর হতে ফরিদপুরগামী পাকা রাস্তার উত্তর পাশে বেলগাছি গজারিয়া মেহগনি বাগানের মধ্যে স্থানীয়রা দেখতে পায়। পরবর্তীতে থানা পুলিশকে খবর দিলে থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। যা চুয়াডাঙ্গা জেলাসহ সারাদেশের প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। এ ঘটনার সংবাদ প্রাপ্তির পর থেকেই র্যাব ঘটনার রহস্য উদঘাটনে গোয়েন্দা তৎপরতা শুরু করে। যার প্রেক্ষিতে গত ১৩ নভেম্বর র্যাব-১২, সিপিসি-৩, মেহেরপুর ও চুয়াডাঙ্গা থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা থানার স্টেশন রোড হতে মোঃ সাগর আহমেদ (২০), পিতা- মোঃ সাহাদ আলী, সাং- গোবিন্দপুর, থানা- আলমডাঙ্গা, জেলা- চুয়াডাঙ্গা থেকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হলে সে হত্যার সাথে জড়িত বলে স্বীকার করে এবং তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে একই তারিখ যৌথ অভিযানে চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা থানাধীন উপজেলা সরকারী খাদ্য গুদাম গেইটের সামনে হতে মোঃ জহুরুল ইসলাম (৪৫), পিতা- মোঃ ইউসুফ হোসেন, সাং- কুতুবপুর, থানা- চুয়াডাঙ্গা সদর, জেলা- চুয়াডাঙ্গা’কে আটক করা হয়।
এরা সবুজের সাথে থেকে দীর্ঘদিন ধরে পুরাতন মোটরসাইকেল ক্রয়-বিক্রয়ের ব্যবসা করতো। মূল পরিকল্পনাকারী আসামি সাগর ও আসামি জহুরুল টাকার জন্য সবুজকে বাইক বেচাকেনা এবং একই সাথে সিদ্ধি খাওয়ার কথা বলে কৌশলে ঘটনাস্থলে নিয়ে যায়। সবুজের কাছ থেকে নেওয়া টাকা গুলো আত্নসাৎ কারার উদ্দেশ্যে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে সবুজের কাছ থেকে টাকা নিয়ে নেয় এবং তাকে হত্যা করে আলামত ধবংসের উদ্দেশ্যে মোটরসাইকেলসহ জ্বালিয়ে দেয়।
এ ঘটনায় ঘটনার প্রেক্ষিতে চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গা থানায় একটি মামলা রুজু হয়।
প্রধান আসামী সাগর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে। মামলার রহস্য উদঘাটন এবং আসামী গ্রেফতারে থানা পুলিশ মূল ভুমিকা পালন করে। র্যার-১২, সিপিসি-৩ প্রকৃত রহস্য উদঘাটন এবং আসামী গ্রেফতারে থানা পুলিশকে সহযোগিতা করে।
আরও পড়ুন: