বৃহস্পতিবার

২১ নভেম্বর, ২০২৪
৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১
১৯ জামাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

ডাকাতি করতে গিয়ে মা-ছেলেকে হত্যা : তিন ডাকাতের মৃত্যুদণ্ড

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১৪:০৫

শেয়ার

ডাকাতি করতে গিয়ে মা-ছেলেকে হত্যা : তিন ডাকাতের মৃত্যুদণ্ড
মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত তিন আসামি। ছবি : বাংলা এডিশন

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে বসতবাড়িতে ডাকাতি করতে গিয়ে ছানোয়ারা বেগম (৪৮) ও তার ছেলে রাজকে (৮)  হত্যার মামলায় তিন আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদেরকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছর করে সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন বিচারক।

বুধবার (২০ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক সোহানী পূশণ এ রায় দেন। আদালতের বেঞ্জ সহকারী অরুপ রায়হান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্তরা হলেন- কুষ্টিয়া দৌলতপুর উপজেলার সোনাইকান্দি গ্রামের ইমরান হোসেনের ছেলে আলী আকবর, একই গ্রামের মৃত শহিদুল ইসলামের ছেলে লালচাঁদ মন্ডল ও একই উপজেলার জোয়াদ্দারপাড়া এলাকার সেকেন্দার মোল্লার ছেলে হানিফ মোল্লা।

রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত তিন আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার পর পরই তাদেরকে পুলিশ পাহারায় জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।

মামলার সূত্রে জানা যায়, কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার সোনাইকান্দি গ্রামে ২০১৯ সালের ১৭ নভেম্বর দিবাগত রাতে বসতবাড়িতে ছানোয়ারা বেগম (৪৮) ও তার ছেলে রাজ (৮) ঘুমিয়ে ছিলেন। এসময় আসামিরা ডাকাতি করার জন্য তাদের বসতঘরে প্রবেশ করে। ছানোয়ারা বেগম জেগে উঠে প্রতিবাদ ও চিৎকারের চেষ্টা করলে শ্বাসরুদ্ধকরে হত্যা করে আসামিরা। একইভাবে ছানোয়ারা বেগমের ছেলে রাজকে হত্যা করে তারা। এরপর আসামিরা ছানোয়ারার গলায় মাফলার ও রাজের গলায় গামছা  পেঁচিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করেন। এসময় তার বাড়ি থেকে মোবাইল সহ বিভিন্ন জিনিসপত্র ডাকাতি করে নিয়ে যায় আসামিরা। নিহত ছানোয়ারা বেগম সোনাইকান্দি গ্রামের মানিকের স্ত্রী। ওই বাড়িতে ছানোয়ারা ও তার ছেলে রাজ বসবাস করতেন।

এ ঘটনায় ২০১৯ সালের ১৮ নভেম্বর দৌলতপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে পারভিনা খাতুন। মামলার তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা একই বছরের ২৭ ডিসেম্বর আদালতে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ। এরপর আদালত এ মামলায়  সাক্ষীর সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন। নির্ধারিত ধার্য তারিখে আদালতের বিচারক মামলার আসামিদের শাস্তির আদেশ দেন।

এ বিষয়ে কথা বলার জন্য আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) খন্দকার সিরাজুল ইসলামের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেন নি।

বিচারক সোহানী পূশণের আদালতের বেঞ্জ সহকারী অরুপ রায়হান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ডাকাতি করতে গিয়ে মা ও ছেলেকে হত্যার দায়ে তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। রায় ঘোষণার সময় দন্ডপ্রাপ্তরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।