রাজশাহীতে প্রথম আলো অফিসের সাইনবোর্ড ও পত্রিকা পুড়িয়ে ঢাকায় বিক্ষোভকারীদের ওপর পুলিশের হামলার প্রতিবাদ জানিয়েছে রাজশাহীর বিক্ষুদ্ধ জনতা।
সোমবার কারওয়ান বাজারে বিক্ষোভকারীদের ওপর পুলিশি হামলার প্রতিবাদে নগরীর সাহেববাজার জিরো পয়েন্টে মানববন্ধন করে তাওহিদী জনতা ও সাধারণ জনগন।
মানববন্ধন থেকে পুলিশি হামলা ও আটকের নিন্দা জানিয়ে বিতর্কিত পত্রিকা দুটির প্রতি হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন বক্তারা।
বক্তব্য প্রদানকালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও বৈষম্যবিরোধী নেতা মাসুম বিল্লাহ বলেন, ইতিহাসের জঘন্যতম হত্যাকান্ড পিলখানা ট্রাজেডিকে প্রথম আলো বিডিয়ার বিদ্রোহ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছে। ৫ মে শাপলা চত্বরে হেফাজতের ওপর বর্বর আওয়ামী হামলার পেছনের কারিগর এই প্রথম আলো-ডেইলি স্টার। আওয়ামী সন্ত্রাসীরা নির্দ্বিধায় মিছিল করে বেড়ালেও প্রশাসন দেখে না অথচ যৌক্তিক অভিযোগ নিয়ে প্রথম আলোর অফিসের সামনে আমার ভাইয়ের ওপর পুলিশ হামলা করে। আমরা এর তীব্র নিন্ত জানাই।
অন্য এক বক্তা বলেন, স্বৈরাচার পালালেও স্বৈরাচারের দোসর এখনো দেশে আছে। এদের বিরুদ্ধে কথা বলায় আমার ভাইদের ওপর হামলা করেছে পুলিশ। প্রশাসন ও সরকারকে বলতে চাই, এই দেশের মানুষ ভারতীয় দোসরদের আধিপত্য মানবে না।
এ সময়ে বিতর্কিত সংবাদপত্র প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার পুড়িয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন তারা।
পরে জিরো পয়েন্ট থেকে নগরীর আলুপট্টিতে বোয়ালিয়া থানা সংলগ্ন প্রথম আলোর বিভাগীয় ব্যুরো অফিসের দিকে অগ্রসর হয় মানববন্ধনকারীরা। ঘেরাও করা হয় কার্যালয়। এক পর্যায়ে প্রথম আলো অফিসের সাইনবোর্ড খুলে এনে পুড়িয়ে দিয়ে প্রতিবাদের জানান দেন বিক্ষুদ্ধ জনতার এক অংশ।
সম্প্রতি প্রতিথযশা সাংবাদিক ইলিয়াছ হোসাইন বিতর্কিত সংবাদপত্র প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার নিয়ে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করেন।
প্রতিবেদনটিতে ঐ সংবাদপত্র দুটি ভারতীয় আগ্রসানের সাংস্কৃতিক সহযোগী এবং বিগত ফ্যাসীবাদী সরকারের ঘটানো ইতিহাসের জঘন্যতম পিলখানা, শাপলাচত্বর হত্যাকান্ডসহ নির্বিচারে গুম খুনের নেপথ্য কারিগর হিসেবে চিহ্নিত হয়।
এর জের ধরে দেশব্যাপী প্রথম আলো-ডেইলি স্টার বয়কটের দাবি জোড়ালো হলে গত ২৪ নভেম্বর ঢাকায় পত্রিকাটির কার্যালয়ের সামনে ‘প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের জিয়াফত’ শীর্ষক অভিনব বিক্ষোভের আয়োজনে পুলিশ প্রশাসন সহিংসতা ঘটায় এবং অনৈতিকভাবে গ্রেফতার করে অনেককেই।
গতকালের ঐ পুলিশি আক্রমণ ও গ্রেফতারের ঘটনার প্রতিবাদে রাজশাহীতে ব্যাপক জনসাধারণের উপস্থিতিতে মানববন্ধনটি অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: