সিরাজগঞ্জের তাড়াশের কুন্দইল বিলচলন বঙ্গবন্ধু উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেনীর শিক্ষার্থীদের রেজিষ্ট্রেশনের অতিরিক্ত টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষক আফজাল হোসেনের বিরুদ্ধে।
মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড রাজশাহী কর্তৃক নবম শ্রেনীর ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য রেজিষ্ট্রেশন ফি নির্ধারন করেন ২০৫ টাকা। কিন্তু ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. আফজাল হোসেন ৭০জন শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আদায় করেন ৪০০ টাকা করে। তারপর স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. হজরত আলী করোনার পর থেকে স্কুলে অনুপস্থিত থাকলেও প্রধান শিক্ষক আফজাল হোসেনের সাথে যোগসাজসে প্রতিমাসে বেতন ভাতা উত্তোলন করছেন।
এ ছাড়া এনটিআরসির শিক্ষক নুরে হাবিবাকে নিয়োগের সময় তার কাছ থেকে ৬০ হাজার টাকা এবং স্কুলের পুকুর লিজ দেয়ার ৯০ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে ওই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে।
শিক্ষার্থীর অভিভাবকরা জানান, উপজেলার বিভিন্ন স্কুলে রেজিষ্ট্রেশনের জন্য ২৩০টাকা থেকে ২৩৫ টাকা নেয়া হচ্ছে। এই স্কুলের প্রধান শিক্ষক জোর করে আদায় করছেন ৪০০ টাকা।
এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক আফজাল হোসেন জানান, রেজিষ্ট্রেশন অনলাইন করতে বেশি টাকা ব্যয় হয়ে যায়, যার ফলে অতিরিক্ত টাকা নেয়া হচ্ছে। তারপর টাকাগুলো আদায় করে স্কুলের উন্নয়নের কাজে ব্যয় করা হয়েছে।
তাড়াশ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আব্দুস সালাম জানান, ‘শিক্ষাবোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত রেজিষ্ট্রেশন ফির বেশি টাকা নিলে বিষয়টি জেনে অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।’
আরও পড়ুন: