চট্টগ্রাম আদালত এলাকায় বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের মুক্তির দাবিতে আন্দোলনকারীদের হামলায় সাইফুল ইসলাম আলিফ নামে এক তরুণ আইনজীবী নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার বিকেলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় আহত আরও ৭-৮ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানা যায়।
চট্টগ্রাম আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর মোহাম্মদ অ্যাডভোকেট এনামুল গণমাধ্যমকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
নিহতের সহকর্মী সাজিদ আব্দুল্লাহ সাঈফ ফেসবুক পোস্টে বলেন, অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফ ভাই আসার পথে পা পিছলে পড়ে গেলে ইসকনের সন্ত্রাসীরা তাকে পিছন হতে তুলে নিয়ে যায়, নিয়ে ঠান্ডা মাথায় জবেহ করে হত্যা করেছে। এতো করে সবাইকে ডেকেও তাকে বাঁচাতে পারিনি।
জানা গেছে, সাইফুল ইসলাম আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন। তিনি ২০১৮ সালে জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য হন। পরে তিনি হাইকোর্টের আইনজীবী হিসেবেও নিবন্ধন পান। অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফ লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি এলাকার বাসিন্দা। তার বাবা নাম জালাল উদ্দিন। সম্প্রতি তিনি চট্টগ্রাম আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন।
চমেক হাসপাতালের নতুন পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ তসলিম উদ্দীন বলেন, চট্টগ্রাম আদালতে সংঘর্ষের ঘটনায় ৭-৮ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে একজনকে মৃত ঘোষণা করা হয়েছে।
এরআগে, মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার কোতোয়ালি থানায় দায়ের হওয়া মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে কাজী শরীফুল ইসলামের আদালতে হাজির করা হয় চিন্ময় দাসকে। আদালত জামিন না’মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আদালতের আদেশ মোতাবেক চিন্ময়কে প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়। অন্যদিকে চট্টগ্রাম আদালত এলাকায় সকাল থেকে জড়ো হতে থাকে চিন্ময় কৃষ্ণের অনুসারীরা। আদালত জামিন না মঞ্জুরের আদেশ দিলে চিন্ময় কৃষ্ণের অনুসারীরা বিক্ষোভ করে। একপর্যায়ে তারা প্রিজন ভ্যান আটকে দেয়। পরে পুলিশ ও বিজিবি মিলে আন্দোলনকারীদের সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে।
আরও পড়ুন: