রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গ্রেফতার চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর মুক্তির দাবিতে চালানো সংঘর্ষের সময় মঙ্গলবার চট্টগ্রাম আদালত ভবনের সামনে নিহত হন সাইফুল ইসলাম আলিফ।
আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফের নিহতের খবর চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে তার গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় আত্মীয়স্বজন, পাড়া প্রতিবেশীসহ দূর দূরান্ত থেকে লোকজন ছুটে আসতে থাকেন।
মঙ্গলবার রাত থেকে তার গ্রামের বাড়িতে দেখা যায় হৃদয় বিদারক দৃশ্য। আলিফের মাসহ স্বজনরা বুক চাপড়ে কাঁদছেন। ৩২ বছরের যুবক অ্যাডভোকেট আলিফকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ তার পরিবার। আলিফকে হারিয়ে সন্তানসম্ভাবা স্ত্রীর চোখে ঘোর অমানিশা।
হত্যাকাণ্ডের শিকার আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফের গ্রামের বাড়ীতে বুধবার বিকেলে উপজেলার চুনতি ফারাঙ্গা লতাপীর শাহ মাজার প্রাঙ্গনে সর্বশেষ চতুর্থ নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই জানাজায় সামাজিক, রাজনৈতিক, আইনজীবিসহ নানা শ্রেণী পেশার মানুষের ঢল নামে। এসময় সংক্ষিপ্ত আলোচনায় বক্তারা সন্ত্রাসীদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি জানান।পরে, ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয় তাকে। চারপাশে শোকের আবহ সৃষ্টি হয়েছে।
একইদিন সন্ধ্যায় সাইফুলের কবর জিয়ারত করেন চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াতে ইসলামীর আমির শাহজাহান চৌধুরী, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ, নাগরিক কমিটির সদস্য এবং জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম, চট্টগ্রামের সমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফিসহ অনেকে। পরে তারা সাইফুলের বাবার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
আরও পড়ুন: