রবিবার

২০ এপ্রিল, ২০২৫
৬ বৈশাখ, ১৪৩২
২২ শাওয়াল, ১৪৪৬

উত্তরায় মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগে মানববন্ধন

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৯ নভেম্বর, ২০২৪ ২২:২৭

আপডেট: ২৯ নভেম্বর, ২০২৪ ২২:২৮

শেয়ার

উত্তরায় মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগে মানববন্ধন
মানববন্ধনে রুয়াপের স্থানীয় বাসিন্দারা। ছবি: বাংলা এডিশন

রাজধানীর উত্তরা ১৮ নম্বর সেক্টরের রাজউক উত্তরা অ্যাপার্টমেন্ট প্রকল্প (রুয়াপ) আবাসিক এলাকায় বহিরাগতদের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি ও রাজনৈতিক এবং সাংবাদিক পরিচয়ে মিথ্যা মামলা দিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের হয়রানির অভিযোগে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।

শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে রুয়াপ কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সামনে এ মানববন্ধনের আয়োজন করে ব্রাদার্স ইউনাইটেড ক্লাব।

রুয়াপের শিশু, কিশোর থেকে শুরু করে সর্বস্তরের মানুষ মানববন্ধনে অংশ নেন। এসময় তারা জানান, রাজউক উত্তরা অ্যাপার্টমেন্ট প্রকল্প একটি সংরক্ষিত আবাসিক এলাকা। তবে সাম্প্রতিক সময়ে বহিরাগতদের আনাগোনা ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পরিচয়ে সেখানে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির পায়তারা করছে একটি মহল।

জানা গেছে, গত ২১ নভেম্বর রুয়াপের দ্বিতীয় গেটের সামনে রাজনৈতিক পরিচয়ে কয়েকজন স্থানীয় ব্যক্তিকে হয়রানির চেষ্টাকালে শফিকুল ইসলাম নামে একজনের সঙ্গে হাতাহতি হয় স্থানীয় বাসিন্দাদের। এরই জের ধরে তুরাগ থানায় ১৫ জনের নামে মামলা করেন শফিক। এছাড়া মামলার এজহারে অজ্ঞাতনামা আরও ৫০ জনকে আসামী করা হয়।

মূল অভিযুক্তদের রেখে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তাঁদের নামে মামলা দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। মানববন্ধনে তারা আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, যাদের বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হয়েছে সেটা ভিত্তিহীন। এছাড়া অজ্ঞাত ৫০ জনের নামে মামলা হওয়ায় নিজের সন্তানদের নিয়ে শঙ্কায় দিন পার করছেন তারা।

মানববন্ধন থেকে স্থানীয়রা রাজউক উত্তরা অ্যাপার্টমেন্ট প্রকল্পের আবাসিক এলাকার নিরাপত্তা ও জীবনমান স্বাভাবিক রাখতে ১০ দফা দাবি জানান। রুয়াপের প্রকল্প পরিচালক বরাবর এই দাবি জানান তারা।

দাবি গুলো:

১. আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে বসবাসের উপুযুক্ত পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে হবে।

২. রুয়াপের তরুণদের বিরুদ্ধে মিথ্যা এবং হয়রানিমূলক মামলাবাজদের চিহ্নিত করে দ্রুত আবাসিক এলাকা থেকে বিতারিত করতে হবে।

৩. আবাসিক এলাকায় বহিরাগতদের নিয়ন্ত্রণের জন্য দ্রুত পর্যাপ্ত পরিমাণ নিরাপত্তারক্ষী নিয়োগ করতে হবে।

৪. ৭ দিনের মধ্যে যানবাহনের স্টিকার এর ব্যবস্থা করতে হবে। স্টিকার বিহীন গাড়ী প্রবেশ করতে দেয়া যাবে না। রাত ১২ টার পর অপরিচিত কোন ব্যক্তি বা যানবাহন প্রবেশ করলে অবশ্যই তার তথ্য যাচাই করতে হবে।

৫. রুয়াপের সকল প্রবেশ পথ এবং মোড়ে হাই রেজুলেশন সিকিউরিটি ক্যামেরা স্থাপন করতে হবে।

৬. রুয়াপ যেহেতু সংরক্ষিত আবাসিক এলাকা তাই সকল প্রকার দলীয় রাজনীতি রুয়াপে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে।

৭. রুয়াপে শিশু ও তরুণদের খেলাধূলার জন্য উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে ও সমস্ত প্রতিবন্ধকতা দূর করতে হবে।

৮. রুয়াপে বসবাসরত স্পেশাল চাইল্ডদের জন্য স্কুল নির্মাণ করতে হবে।

৯. পরিষ্কার ও স্বাস্থ্য সম্মত পরিবেশ নিশ্চিতে পর্যাপ্ত ক্লিনার নিয়োগ দিতে হবে ও ডাস্টবিনের ব্যবস্থা করতে হবে।

১০. ‘রুয়াপ’ আবাসিক এলাকায় সর্বসাধারণের জন্য লাইব্রেরি স্থাপন করতে হবে।

banner close
banner close