টেকনাফ পৌর শহরের স্টেশন, লামার বাজার ও উপর বাজারের ব্যবসায়ীরা অস্থায়ী দোকানপাট দিয়ে ফুটপাত দখল করে রেখেছে। কোথাও সড়কের পাশের ফুটপাতে কাঁচা বাজার, কোথাও কাপড়ের দোকান, কোথাও মুদির দোকানের মালামাল পৌরসভার ড্রেনে ও সড়কের উপর রাখা হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, ফুটপাত দখল করে অবৈধ ভাসমান দোকানপাট বসানোর কারণে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হওয়াসহ পথচারীদের ভোগান্তির শেষ নেই।
রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে মালমাল ক্রয় করে রাস্তর ফুটপাতে বিক্রি করছে ব্যবসায়ীরা। আবার ফুটপাতে দোকান বসিয়ে তৈরি করা হচ্ছে বিভিন্ন ধরণের খাবার। রাস্তার ধুলাবালি মিশে যাওয়া খাবার গ্রহণের ফলে অনেকেই সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। কোথাও ফুটপাত দখল করে দেয়া হয়েছে বাঁশের দোকান। পুরাতন বাস স্টেশন বায়তুল করম জামে মসজিদ থেকে শুরু করে উপর বাজারের অধিকাংশ ব্যবসায়ীরা ফুটপাত ও সড়ক দখলে নিয়েছে। যে ফুটপাতে সাধারণ পথচারীদের চলাচলের কথা সেই ফুটপাতে রাজত্ব করছে অসাধু সিন্ডিকেট।
ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, এসব দোকান স্থাপনের পেছনে রয়েছে প্রভাবশালীদের হাত। চাঁদা দিয়ে চালানো হয় দোকানপাট। পৌরসভা থেকে বাজার ইজারা ও জমিদারের কথা বলে প্রতিদিন ২০-৩০ টাকা করে চাঁদা নেওয়া হচ্ছে। যার কোন রশিদ তাদের দেওয়া হয়না। আবার বিভিন্ন স্থানে দোকান মালিকরা উচ্চ মূল্যে সামনের ফুটপাত ভাড়া দিয়েছেন হকারদের কাছে। এভাবে প্রতি মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন একটি অসাধু চক্র। টেকনাফ পৌরসভায় যেসব অবৈধ স্থাপনা ও দোকানপাট রয়েছে এসবের কারণে স্থানীয় পথচারীদের যাতায়তে বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আরিফ উল্লাহ নিজামী জানান, আমি নতুন দায়িত্বে এসেছি। বিষয়টি নিয়ে আমাকে ইতিমধ্যে অবগত করা হয়েছে। পৌরসভা কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ করে আমরা দ্রুত ফুটপাত দখলমুক্ত করার জন্য অভিযান পরিচালনা করা হবে।
আরও পড়ুন: