.jpg)
মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার পশ্চিম জামির্ত্তা গ্রামের আব্দুস সালামের বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।
বুধবার (৪ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ২ টার দিকে মুখোশধারী ডাকাত দল ওই বাড়িতে থেকে স্বর্ণালংকার, নগদ টাকাসহ কমপক্ষে ১০ লাখ সমমূল্যের মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।
ওই বাড়ির গৃহকর্তা আব্দুস সালামের ছেলে উজ্জল হোসেন এ বিষয়ে বলেন, জানালার গ্রীল ও দরজার তালা ভেঙ্গে ঘরে ঢুকে ৮ থেকে ১০ জনের মুখোশধারী ডাকাত দল আমাদের পরিবারের সবাইকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে। পরে তারা আলমারি ও সুকেজ ভেঙ্গে ৪ ভরি স্বর্ণালংকার, ৭০ ভরি রোপা ও নগদ ৪ লাখ টাকাসহ অন্যান্য মালামাল লুট করে।
তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত এ ঘটনায় থানায় কোনো মামলা হয়নি।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে জানান, ডাকাতির ঘটনাস্থলের পাশেই হাতনী-জামির্ত্তা আঞ্চলিক সড়কে একটি পুলিশ বক্স আছে। কিন্তু বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে ওই বক্সে কোনো পুলিশ সদস্য উপস্থিত থাকে না।
এ ছাড়া পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার কারণে এ এলাকায় সম্প্রতিকালে চুরি, ডাকাতিসহ আইন-শৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা।
অন্যদিকে, ওই রাতেই উপজেলার বায়রা ইউনিয়নের গাড়াদিয়া উত্তরপাড়া গ্রামের রিপন মিয়ার বাড়িতে লবনের সঙ্গে চেতনানাশক ওষুধ মিশিয়ে একদল চোর রাতে জানালা ভেঙ্গে ঘরে ঢুকার চেষ্টা করে।
গৃহকর্তার ছেলে রিফাত ঘটনা টের পেয়ে ঘরের বাহিরে এলে চোরেরা তাকে আঘাত করে। ওই সময় তার চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসলে নিজাম উদ্দিন নামের এক চোরকে ধরে ফেলে।
এ সময় চোর নিজাম উদ্দিনের সঙ্গে থাকা আরও দুজন পালিয়ে যায়। স্থানীয় জনতা আটক চোর নিজামকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে। সে একই ইউনিয়নের কালিনগর গ্রামের নুর মোহাম্মদের ছেলে।
একই রাতে চুরি ও ডাকাতির বিষয়ে জানতে চাইলে সিংগাইর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মোশারফ হোসেন বলেন, ডাকাতির ঘটনা আপনার কাছ থেকেই প্রথম শুনলাম। তদন্ত কেন্দ্রের আইসি হয়তো জানতে পারেন।
তবে চুরির ঘটনায় একজনকে আটকের কথা স্বীকার করেন তিনি।
এ ব্যাপারে শান্তিপুর (বাঘুলি) তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ (আইসি) পুলিশ পরিদর্শক রনজিৎ সাহাকে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
আরও পড়ুন: