রবিবার

২০ এপ্রিল, ২০২৫
৬ বৈশাখ, ১৪৩২
২২ শাওয়াল, ১৪৪৬

রাজশাহীতে অধ্যক্ষকে মারলেন সহকারী অধ্যাপক: অধ্যক্ষ দাবীদার দুজনই

রাজশাহী প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১৬:২২

শেয়ার

রাজশাহীতে অধ্যক্ষকে মারলেন সহকারী অধ্যাপক: অধ্যক্ষ দাবীদার দুজনই
কলেজ অধ্যক্ষ দাবিদার দুইজন। ছবি: সংগ্রহীত

কলেজের অধ্যক্ষ পদ দাবীর প্রেক্ষিতে সহকারী অধ্যাপক কতৃক এক অধ্যক্ষকে মারধরের ঘটনা ঘটেছে রাজশাহীতে।

গত বুধবার (৪ ডিসেম্বর)  বিকেল ৩ টায় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের রাজশাহী আঞ্চলিক কার্যালয়ে এ ঘটনাটি ঘটলে ৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ তারিখে ভুক্তভোগী অধ্যক্ষের অভিযোগের মধ্য দিয়ে সামনে আসে বিষয়টি।

ভুক্তভোগী ঐ অধ্যক্ষের নাম জয়নাল আবেদীন। তিনি  পবা উপজেলাধীন কাটাখালী আদর্শ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ পদে রয়েছেন।

অন্যদিকে অভিযুক্ত সহকারী অধ্যাপক হলেন- সিরাজুল হক। তিনি একই কলেজের ভূগোল বিভাগের সহকারী অধ্যাপক।

গত ৫ আগস্ট পট পরিবর্তনের পর কাটাখালী আদর্শ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ জয়নাল আবেদীন গাঁ ঢাকা দেন।

অনুপস্থিত থাকেন দীর্ঘ একটি সময়। সে সময়ে কলেজটির ভূগোল বিষয়ের সহকারী অধ্যাপক সিরাজুল হক নিজেকে স্বঘোষিত অধ্যক্ষ হিসেবে দাবি করেন।

ঘটনাক্রমে গত ৪ ডিসেম্বর (বুধবার)  নগরীর সোনাদীঘি এলাকায় অবস্থিত মাউশি'র রাজশাহী আঞ্চলিক পরিচালকের কার্যালয়ে অবস্থানরতকালে জয়নুল আবেদীনের ওপর চড়াও হন সিরাজুল হক।

ঘটনার উপক্রম হয় অধ্যক্ষ পদে উভয়ের জোরালো দাবি নিয়ে।

এ সময়ে জয়নাল আবেদীনকে সিরাজুল হক চপেটাঘাত করেন এবং শারিরীকভাবে লাঞ্চিত করেন।এমনকি প্রাণনাশের হুমকিও প্রদান করা হয় জয়নালকে।

এ ঘটনায় ০৫ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) বোয়ালিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন জয়নাল আবেদীন।

পরে কক্ষটিতে থাকা সিসি ক্যামেরার একটি ফুটেজে সিরাজুল কতৃক জয়নালকে থাপ্পড় ও শারিরীক হেনস্থা করার বিষয়টি সুস্পষ্ট হয়।

এ বিষয়ে ফোন বন্ধ পাওয়ায় ভুক্তভোগী জয়নাল আবেদীনের বক্তব্য নেয়া না গেলেও অভিযুক্ত সিরাজুল হক একবাক্যে অস্বীকার করেছেন তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ।

তিনি বাংলা এডিশনকে সিসি ক্যামেরা বিষয়ে প্রশ্নেও সরাসরি না-সূচক জবাব দিয়ে বলেছেন, ঐ সময় আমি ছিলামই না।

জয়নাল আবেদীনের অভিযোগ আমলে নিয়ে আইনী প্রক্রিয়ায় আগানোর কথা জানিয়েছেন আরএমপি'র বোয়ালিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মেহেদি মাসুদ।

এ ঘটনায় কলেজটির গভর্নিং বডির সভাপতি ইউএনও সোহরাব হোসেন জানিয়েছেন, মারধরের অভিযোগটি পুলিশ তদন্ত করে ব্যবস্থা নিবে। আর অধ্যক্ষ পদের মীমাংসার ব্যাপারটি জেলা প্রশাসককে জানানো হয়েছে।

banner close
banner close