রবিবার

২০ এপ্রিল, ২০২৫
৭ বৈশাখ, ১৪৩২
২২ শাওয়াল, ১৪৪৬

হরিরামপুরে বহাল তবিয়তে হত্যা মামলার চার্জশিটভূক্ত আসামি শিক্ষক লালমুদ্দিন

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:১৬

আপডেট: ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:৩৭

শেয়ার

হরিরামপুরে বহাল তবিয়তে হত্যা মামলার চার্জশিটভূক্ত আসামি শিক্ষক লালমুদ্দিন
ছবি: সংগৃহীত

হত্যা মামলার চার্জশিটভূক্ত আসামি হয়েও নিয়মিত ক্লাসসহ কলেজের কার্যক্রম পরিচালনা করছেন মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার ঝিটকা খাজা রহমত আলী কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের সহকারি অধ্যাপক মো. লালমুদ্দিন। বিধি অনুযায়ী, ফৌজদারি মামলায় আদালত কর্তৃক গৃহিত চার্জশিটভুক্ত আসামি হলে অভিযুক্ত শিক্ষককে বরখাস্ত করার বিধান রয়েছে। তবে, আদালত কর্তৃক চার্জশিট গৃহিত হওয়ার তিন মাস পার হলেও তাকে সাময়িক বরখাস্ত বা তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়ার উদ্যোগ নেয়নি কলেজ কর্তৃপক্ষ।

মামলার নথিপত্র থেকে জানা যায়, গত ৯ জানুয়ারি দিবাগত রাতে সিংগাইর উপজেলার ছোট বরুন্ডি গ্রামের মো. সোনামুদ্দিন বিশ্বাসের স্ত্রী তহুরা বেগমকে হত্যার অভিযোগ ওঠে তার পুত্রবধু আইরিন আক্তারের বিরুদ্ধে। পরদিন ১০ জানুয়ারি তহুরা বেগমের ভাই মামুন হোসেন বাদী হয়ে সিংগাইর থানায় আইরিন আক্তারকে ১নং আসামি এবং মো. লালমুদ্দিনকে ২নং আসামি করে মামলা করেন।

মামলায় গত ৩০ জুন দুইজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন জেলা গোয়েন্দা শাখার উপ-পরিদর্শক আজহারুল ইসলাম। যা গত ২৮ আগস্ট সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত কর্তৃক গৃহিত হয়। মামলায় বর্তমানে লালমুদ্দিন জামিনে আছেন।

বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জনবলকাঠামো ও এমপিও নীতিমালা অনুযায়ী, কোনো ফৌজদারি/নৈতিক স্থলন/দুর্নীতির মামলায় কোনো শিক্ষক-কর্মচারী অভিযুক্ত হয়ে আদালত কর্তৃক অভিযোগপত্র গৃহিত হলে নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট শিক্ষক-কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করতে পারবে। সাময়িক বরখাস্তকালীন সময়ে তিনি বেতন-ভাতার অর্ধেক খোরপোষ ভাতা প্রাপ্ত হবেন।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত বেসরকারি কলেজ শিক্ষকদের চাকুরীর শর্তাবলি অনুযায়ী, নৈতিক স্থলনজনিত অপরাধের কারণে গভর্নিং বডি অভিযুক্ত অপরাধের গুরুত্বভেদে শিক্ষককে তিরস্কার, বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি বাতিল, চাকরি হতে অপসারণ বা বরখাস্ত করতে পারবে। তবে, এক্ষেত্রে গভর্নিং বডি বিধি মোতাবেক ৫ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করবে এবং তদন্ত কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে ব্যবস্থা নিতে হবে।

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের ঢাকা বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক মনোয়ার হোসেন জানান, ‘এক্ষেত্রে কলেজের গভর্নিং বডি তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবেন এবং অধিদফতরে লিখিতভাবে অবহিত করবেন।’

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর এস এম মাসুদ রানা আতাউর বলেন, ‘কোনো শিক্ষকের বিরুদ্ধে যদি এরকম মামলা বা অভিযোগ হয়ে থাকে সেটা কলেজ কর্তৃপক্ষ আমাদের লিখিতভাবে জানাবে। আমরা তদন্ত সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেবো।’

অভিযুক্ত শিক্ষকের বিষয়ে জানতে চাইলে ঝিটকা খাজা রহমত আলী কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. হামিদুর রহমান বলেন, ‘এ রকম ঘটনার সম্মুখীন আমরা আগে কখনো হইনি। তাই এ বিষয়ে নীতিমালা কি সেটা জানা নেই। আমরা আলোচনা করে দেখি কি করা যায়।’

 

banner close
banner close