রবিবার

২০ এপ্রিল, ২০২৫
৭ বৈশাখ, ১৪৩২
২২ শাওয়াল, ১৪৪৬

মিরসরাইয়ে বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চলে বাড়ছে কর্মযজ্ঞ

মিরসরাই (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১৬:৪৫

শেয়ার

মিরসরাইয়ে বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চলে বাড়ছে কর্মযজ্ঞ
ছবি: বাংলা এডিশন

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে ধীরে ধীরে কর্মযজ্ঞ বাড়ছে বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চলে। দেশের সর্ববৃহৎ জাতীয় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে ‘বাংলাদেশ রপ্তানী প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষ’ (বেপজা) ১১৩৮..৫৫ একর জমি বরাদ্দ পায়। জমি বরাদ্দ পেয়ে দ্রুত কাজ শুরু করে তারা। ইতিমধ্যে ৪১টি শিল্প প্রতিষ্ঠানকে জমি বরাদ্দ দিয়েছে বেপজা। উৎপাদনে গিয়েছে ৩টি শিল্প প্রতিষ্ঠান।  উৎপাদনের অপেক্ষায় রয়েছে আরো ৩টি প্রতিষ্ঠান। 

বাংলাদেশ রপ্তানী প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষ (বেপজা) সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালে চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে অবস্থিত জাতীয় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে (পূর্বের নাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগর) ১১৫০ একর জমি বরাদ্দ পায় বেপজা। ওই বছরের ২৪ জানুয়ারি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এটির ভিত্তি প্রস্তর ফলক উন্মোচন করেন। ২০১৯ সালে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ বেপজাকে ১১৩৮.৫৫ একর জমি বুঝিয়ে দেয়। জমি বুঝিয়ে নিয়ে কাজ শুরু করে তারা। ১১৩৮.৫৫ একর জমিতে ৫৩৯টি প্লট তৈরি করা হয়। চলতি বছরের ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৪১টি প্রতিষ্ঠানকে ২৪৪টি প্লট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ৪১টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৩টি প্রতিষ্ঠান উৎপাদনে গিয়েছে।

এগুলো হলোঃ খাইশি লিনজেরি বাংলাদেশ লিমিটেড, কেপিএসপি সুজ বাংলাদেশ, ও পেংকুইন। এই ৩টি প্রতিষ্ঠানে প্রায় ২ হাজার ৫০০ লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে বলে বেপজা সূত্রে জানা গেছে। এছাড়া উৎপাদনের অপেক্ষায় রয়েছে আরো ৩টি শিল্প প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানগুলো হলোঃ মিনতা বাংলাদেশ, গুড উড ঢাকা, ইয়াংচেন বিডি।

দেশে বেপজার ৯টি অর্থনৈতিক অঞ্চল রয়েছে। তবে এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় মিরসরাইয়ে অবস্থিত বাংলাদেশ রপ্তানী প্রক্রিয়াকরণ এলাকাটি। বর্তমানে মিরসরাইয়ে অবস্থিত বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চলে ৯শত ২৩ দশমিক ১৩ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। 

সরেজমিনে জাতীয় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে অবস্থিত ‘বাংলাদেশ রপ্তানী প্রক্রিয়াকরণ এলাকা’য় গিয়ে দেখা যায়, উৎপাদনে যাওয়া ৩টি শিল্প প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সবচেয়ে বেশি কর্মসংস্থান হয়েছে চীনা কোম্পানী খাইশি লিনজেরি বাংলাদেশ লিমিটেডে। প্রতিষ্ঠানটি নারীদের বিভিন্ন পোশাক ও ফোম উৎপাদন করে থাকে। এখানে প্রায় ২ হাজার লোক কাজ করছে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটির অর্থনৈতিক কর্মকর্তা জামান উল্ল্যা। তিনি বলেন, আমাদের একটি ইউনিট চালু করা হয়েছে। এতে প্রায় ২ হাজার লোক কাজ করছে। ধীরে ধীরে শ্রমিক সংকট কাটতে শুরু করেছে। স্থানীয়রা বুঝতে শুরু করেছে জাতীয় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের গুরুত্ব। 

এবিষয়ে বেপজা’র প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ এনামুল হক বলেন, বেপজা দেশের অর্থনীতির জন্য একটি ব্যান্ড। ইতিমধ্যে বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চল বাস্তবায়ন অগ্রগতি ৮৬ শতাংশ। বেপজা ইজেড এলাকা-১ প্লট বরাদ্দ সমাপ্তির পথে। ইজেড এলাকা-২ প্লট বরাদ্দ শুরু হয়েছে। শ্রমিক প্রাপ্তিতে চ্যালেঞ্জ রয়েছে। তবুও বেজা ও বেপজার সমন্বিত উদ্যোগে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার চেষ্ঠা চলছে। 

banner close
banner close