রবিবার

২০ এপ্রিল, ২০২৫
৭ বৈশাখ, ১৪৩২
২২ শাওয়াল, ১৪৪৬

সর্বনিম্ন তাপমাত্রায় কাঁপছে মৌলভীবাজার

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১৫:৩৫

আপডেট: ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১৫:৪৮

শেয়ার

সর্বনিম্ন তাপমাত্রায় কাঁপছে মৌলভীবাজার
সর্বনিম্ন তাপমাত্রা মৌলভীবাজারে। ছবি: বাংলা এডিশন

চায়ের রাজধানী হিসাবে পরিচিত হাওর ও পাহাড় অধ্যুষিত মৌলভীবাজারে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।

মঙ্গলবার সকাল ৯টায় জেলার শ্রীমঙ্গলস্থ আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করে। 

বিষয়টি নিশ্চিত করে শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের পর্যবেক্ষক মো: আনিছুর রহমান জানান আগামী ৫-৭ দিন তাপমাত্রা আরও নীচে নামতে পারে।এখন শীতে কাবু জেলার হাওর অঞ্চলের বোরোচাষী ও চা শ্রমিকসহ নিন্ম আয়ের গ্রামীণ জনপদের খেটে খাওয়া হতদরিদ্র মানুষ। প্রচন্ড ঠান্ডায় চরম দূর্ভোগে পড়েছেন তারা। শীত থেকে নিজেকে ও পরিবারের সদস্যদের রক্ষায় উষ্ণ কাপড়ের সংকটে ভোগছেন অনেকে।

প্রতিদিনই তাপমাত্রা কমার সাথে সাথে বাড়ছে শীতের প্রকোপ। নিজেদের সামর্থ্যনুযায়ী গরম কাপড় কিনতে দোকানগুলোতে ভীড় লক্ষ্যণীয়। দিনের মধ্যাহ্ন বেলায় সূর্যের তাপে কিছুটা গরম অনুভূত হলেও বিকেল থেকেই শীত বাড়ছে। সন্ধ্যার পর শহরে তাপমাত্রা একটু বেশি থাকলেও গ্রামীণ জনপদ,হাওর ও চা বাগান এলাকায় প্রচন্ড ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। সন্ধ্যার পর থেকে শুরু হয় হিমেল বাতাস আর ঘনকুয়াশা। এতে অনুভূত হতে থাকে কনকনে শীত। গবাদি পশুগুলোকে ঠান্ডার প্রকোপ থেকে সুরক্ষা দিতে পুরাতন কাপড় ও পাটের বস্তা গায়ে জড়িয়ে বেঁধে দেওয়া হচ্ছে। অনেক স্থানেই খড়কুটো জ্বালিয়ে মানুষজন শীত নিবারনের প্রচেষ্ঠা চালাচ্ছেন। দূর্ঘটনা রোধে বিকেল থেকেই দূরপাল্লার গাড়িগুলো অনেকটা ধীরগতিতে হেড লাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে।

জেলা সিভিল সার্জন কার্যলয়ের তথ্যানুযায়ী জেলা জুড়ে বেড়ে চলেছে ঠান্ডাজনিত রোগবালাই জ্বর,সর্দি,কাশি। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্করা ঠান্ডাজনিত রোগবালাইয়ের দুর্ভোগে পড়ছেন। ঠান্ডা জনিত রোগবালায়ের কারনে জেলা ও উপজেলার সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে অসুস্থরা চিকিৎসা নিচ্ছেন। এমন পরিস্থিতিতে ঠান্ডা থেকে নিজেকে সুরক্ষা দিতে গরম কাপড় পরিধান করার পরামর্শ জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের। শীত মৌসুমের চলতি আবহাওয়ায় শিশু এবং বয়স্করা ঘর থেকে বের না হওয়া পরাপমর্শ দিয়ে যাচ্ছেন। বিশেষ প্রয়োজনে বের হলে অবশ্যই গরম কাপড় পরিধান ছাড়াও ধুলাবালি থেকে রক্ষায় মাস্ক ব্যবহারের পরামর্শ তাদের। জেলা ও উপজেলার সরকারি হাসপাতালে সর্দি,কাশি,জ্বর,শ্বাষকষ্ঠ নিয়ে ভর্তি ও বহির বিভাগে চিকিৎসা নেওয়ার পরিসংখ্যান প্রতিদিনই বাড়ছে। বিশেষ করে হাওর পাড়ের বোরো চাষী,দিনমজুর ও চা বাগানের শ্রমিকরা ঠান্ডা প্রকোপে পড়ছেন চরম বিপাকে। প্রচন্ড ঠান্ডার মধ্যেও তাদের দৈনন্দিন কাজ চালিয়ে যেতে হচ্ছে। 

 

banner close
banner close