
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে সংগীত শিল্পীর ত্রিভুজ প্রেমের জের ধরে প্রেমিক-প্রেমিকার একইদিনে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। অপরদিকে আরেক প্রেমিক ঘটনার পর থেকেই আত্মগোপনে চলে গেছেন বলে জানা গেছে। মঙ্গলবার হৃদয়বিদারক এবং চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা ঘটেছে।
শাহজাদপুর পৌর এলাকার সাহাপাড়া গ্রামের সুদীপ্তা দাস কেকা নামের উদীয়মান কণ্ঠশিল্পী গ্যাস ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যা করেছে। নিহত সুদীপ্তা ওই গ্রামের বাসুদেব দাসের মেয়ে। সে শাহজাদপুর সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে এবার অনার্স শেষ বর্ষের পরীক্ষা দিয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে হৃদয় বিদারক এ ঘটনাটি ঘটে। অপরদিকে, ২৩ ডিসেম্বর গভীর রাতে উপজেলার গাড়াদহ ইউনিয়নের হৃদয় কর্মকার মদন নিজের কর্মস্থল বগুড়ায় আত্মহত্যা করে।
স্থানীয়রা বলছেন, ব্যক্তিজীবনে বিবাহিত এবং এক কন্যা সন্তানের জনক হৃদয় কর্মকার মদনের সাথে কেকার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। অপরদিকে কেকার সাথে পৌর এলাকার প্রাণনাথপুর গ্রামের আরেক কণ্ঠশিল্পী আসাদের সাথে প্রেম চলে আসছিল। তবে কি কারণে কেকা আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে বাধ্য হয়েছে, তা খতিয়ে দেখছে থানা পুলিশ।
মঙ্গলবার রাত শোয়া আটটার দিকে শাহজাদপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) আবু সাঈদ জানান, ‘ঘটনাস্থলে রয়েছি। নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হবে।’
এদিকে কেকার পরিবার জানিয়েছে, শাহজাদপুরের সংগীত অঙ্গনের পরিচিত মুখ সুদীপ্তা দাস কেকা মায়ের ওপর অভিমান করে এদিন বেলা ১১ টার দিকে গ্যাস ট্যাবলেট খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে।
বিষয়টি তার স্বজনেরা জানতে পেরে আশংকাজনক অবস্থায় প্রথমে তাকে স্থানীয় পিপিডি হাসপাতাল, এরপর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, তারপর সিরাজগঞ্জ এবং শেষে সেখানেও কেকার শারীরিক অবস্থার চরম অবনতি ঘটলে বগুড়া শহিদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতালে নেয়ার পথে বিকেলে পথিমধ্যে সে মারা যায়। নিহত কলেজ ছাত্রী কেকা স্থানীয় পূরবী সংগীত বিদ্যালয়ের মেধাবী কণ্ঠশিল্পী হিসেবে ইতিপূর্বে সংগীতে রাজশাহী বিভাগীয় প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থানও অর্জন করেছিল।’
আরও পড়ুন: