রবিবার

২০ এপ্রিল, ২০২৫
৭ বৈশাখ, ১৪৩২
২২ শাওয়াল, ১৪৪৬

গরুর অবাদ বিচরণ আর মেঝেতে পড়ে আছে রোগী: চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১১:৪৮

আপডেট: ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:১৩

শেয়ার

গরুর অবাদ বিচরণ আর মেঝেতে পড়ে আছে রোগী: চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল। ছবি: কোলাজ

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের প্রকাশিত দুটো ছবি নিয়ে বইছে সমালোচনার ঝড়। হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা নিয়ে সমালোচনার ঝড় বয়ে যাচ্ছে জেলা জুড়ে।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের চিকিৎসাসেবা, অনিয়ম, দূর্নীতি, নৈরাজ্য ও অব্যবস্থাপনা নিয়ে স্থানীয় এবং জাতীয় গণমাধ্যমে প্রায়শই সংবাদ প্রচার হয়। তবে গণমাধ্যমে প্রচারিত সংবাদে নিয়ে কখনই মাথা ব্যাথা করেননি হাসপাতাল কতৃপক্ষ।

গত শুক্রবার রাতে গুরুতর অসুস্থ হলে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যান অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য ফারুক হোসেন। তার কিছুক্ষণ পরেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। পরিবারের সদস্যদের দাবী চিকিৎসার অভাবে মৃত্যু হয় ফারুকের। 

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও স্থানীয় গণমাধ্যমে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের খালি মেঝেতে নোংড়া ম্যট্রেসের উপর সাবেক সেনা সদস্যের শুয়ে থাকা একটি ছবি প্রকাশ পায়। মূহুর্তেই ছবিটি ছড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন মাধ্যমে। সৃষ্টি হয় নানা সমালোচনা। 

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি গরুর অবাদ বিচরণের দৃশ্য শেয়ার করেন করেন এক স্থানীয় সংবাদকর্মী। ঠাট্টা করে ক্যাপশনে লেখেন গরু ডায়রিয়ার চিকিৎসা নিতে যাচ্ছে...  লোকেশন: চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল। পোস্টের কমেন্ট অপশনে নানা মন্তব্য করেন নেটিজেনরা।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের এমন দুটি ঘটনার ছবি যুক্ত করে "আমাদের জীবননগর" ও "জীবননগর কমিউনিটি" নামের একটি ফেসবুক পেজে শেয়ার করে তুলে ধরা হয় নানা অনিয়মের তথ্য। যা মূহুর্তেই ভাইরাল হয়।

পোস্টে লেখা হয়- আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ। 

এখন সময় এসেছে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল সংস্থার করার সুতরাং আপনি কথা বলুন, আপনি আপনার চিকিৎসা নিশ্চিত করতে আওয়াজ তুলুন।

বিশিষ্ট পশু ডাক্তার বিদ্যুৎ। সীমাহীন দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার মাস্টারমাইন্ড। তত্বাবধায়ক, চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল।

ওনার পোস্টারে লেখা উচিত ছিলো ম্যানেজার, চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল।

বি:দ্র: প্রতি শুক্রবার বাদে সবদিন উনি রোগী দেখে। মি.বিদ্যুৎ কুমারের দায়িত্ব তো হাসপাতাল মনিটরিংয়ের। কিন্তু উনি বেসরকারি ক্লিনিকে ব্যবসা করে। ম্যানেজারের যদি এই অবস্থা হই তাহলে কর্মচারীরা কিভাবে ভালো হবে?

যার ফলশ্রুতিতে হাসপাতালে গরু ঢুকে যায়,রিসিপশনে নার্স থাকেনা। হাসপাতালকে রোহিংগা ক্যাম্পে পরিণত করেছেন।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের দুইটি গ্রুপের করা পোস্টে নানা ধরনের মন্তব্য করেছেন নেটিজেনরা। 

 

banner close
banner close