
পটুয়াখালী জেলার বাউফল, দশমিনা ও গলাচিপা উপজেলার মানুষের মাঝে ছড়িয়ে পড়েছে ডাকাত আতঙ্ক। ডাকাত আতঙ্কে নির্ঘুম তিন উপজেলার বাসিন্দারা। বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) রাত ১১টার দিকে এই আতঙ্কের সূত্রপাত হয়৷
সরেজমিন ঘুরে ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বাউফল উপজেলার মদনপুরা ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড মধ্য মদনপুরা গ্রামের ভূঁইয়া বাড়িতে ব্যাংক কর্মকর্তা মোহাম্মদ নিয়াজের বসতঘরের জানালা ও দরজায় ধাক্কাধাক্কি করে একদল দুর্বৃত্ত। এসময় বাসায় অবস্থান নিয়াজের বাবা মুঠোফোনে এলাকার লোকজনকে জানালে, স্থানীয় মসজিদের মাইকে এলাকায় ডাকাত দল পড়েছে বলে ঘোষণা দেয়া হয়। তখন দুর্বৃত্ত্বরা নিয়াজের বসতঘরের পেছন দিয়ে পালিয়ে যায়। তবে এরপরেই পুরো উপজেলায় ছড়িয়ে ডাকাত আতঙ্ক, উপজেলার প্রায় সকল মসজিদের মাইকে ডাকাত পড়েছে বলে সতর্ক বার্তা ঘোষণা দেয়া হয়। এদিকে এরকিছু সময় পরে পার্শ্ববর্তী দশমিনা উপজেলাতেও আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে। দশমিনার মসজিদ গুলোর মাইকেও ঘোষণা দেয়া বাউফল থেকে ডাকাত দল দশমিনার দিকে আসছে সতর্ক থাকুন। গলাচিপা উপজেলায় মসজিদের মাইকদিয়ে ঘোষণা ডাকাত পড়েছে সবাই সতর্ক হোন।
তিন উপজেলায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ার বিষয়টি বাউফল উপজেলার ভুক্তভোগী মোহাম্মদ নিয়াজের বাবা ইসমাইল মাস্টার এবং দশমিনা উপজেলার স্থানীয় বাসিন্দা সুস্মিতা দোলা ও গলাচিপা উপজেলার সাংবাদিক সাফায়াত রহমান আবির নিশ্চিত করেছে।
ঘটনার সূত্রপাতের স্থান ভূঁইয়া বাড়ি পরিদর্শন করেছে পুলিশ ও সেনাবাহিনী। পরিদর্শন শেষে বাউফল থানার পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) আতিকুল ইসলাম বলেন, রাত অনুমান সাড়ে ১১টায় দুই তিনজন অজ্ঞান ব্যক্তি জনৈক ইসমাইল মাস্টারের বাসার জানালায় টোকা দেয় মর্মে একটি খবর ছড়িয়ে পরে। তবে আমরা সেনাবাহিনীসহ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ডাকাত দলের কোনো অস্তিত্ব পাইনি। এলাকার মসজিদের মাইকে বিষয়টি ঘোষণা দেয়ায় পর্যায়ক্রমে ডাকাতের গুজব পুরো উপজেলায় ছড়িয়ে যায়। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বর্তমানে স্বাভাবিক আছে বলেও জানান তিনি।
গলাচিপা ও দশমিনা থানার (ওসি) আব্দুল আলীম বলেন, এলাকার মসজিদের মাইকে ডাকাত দলে পড়েছে ঘোষণা আসার পরে স্থানীয় লোকজন রাস্তায় নেমে গেছেন। পুলিশও সতর্ক অবস্থানে আছে, তবে প্রকৃত অর্থে এখনো কোন ডাকাতির ঘটনা ঘটেনি।
আরও পড়ুন: