মাদ্রাসা ছাত্রকে পরিকল্পিতভাবে চুরি মামলায় ফাঁসানোর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার। পাশাপাশি সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনের দাবী জানিয়েছেন তারা। বুধবার বরিশাল প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে মাদ্রাসা ছাত্রের মা লামিয়া বেগম এ দাবি করেন।
লিখিত বক্তব্যে লামিয়া বেগম বলেন, তার শিশুসন্তান আব্দুর রহিম হরিনাফুলিয়া ডা লতিফা আরিফ ইসলামিয়া মাদ্রাসা এতিমখানা ও লিল্লাহ বোর্ডিং এর হাফিজি বিভাগের ছাত্র। মাদ্রাসা বন্ধ থাকায় গত ২৪ জানুয়ারী বরিশাল কলেজের চ্যাটার্জি লেনের ফুপুর বাসায় বেড়াতে যায়। ওইদিন রাতে সেখান থেকে ডিসি কর্মরত হাসিব হাওলাদার ও তার দুলাভাই দ্বীন ইসলামসহ ৮-১০ জন মিলে আব্দুর রহিমকে উঠিয়ে নিয়ে যায়।
সেখানে নিয়ে অমানবিক ভাবে রহিমকে নির্যাতন করে এবং ছেলেকে প্লাজ দিয়ে আঙ্গুলের নক উঠিয়ে ফেলার চেষ্টা করে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলা ফুলা ও রক্তাক্তত্ব জখম করে।
বিষয়টি শোনার পরে রহিমের মা ঘটনা স্থলে গেলে তাকেও নির্যাতন করে এবং পরে তাকে বাসায় আটকে রেখে অমানবিক নির্যাতন চালায়। এমনকি আমার ঘর-দরজা ভাংচুর করে। এসময় ৯৯৯ ফোন দিলে পুলিশ উল্টো তার ছেলেকে নিয়ে যায়। পরে ডিসির অফিসের ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে হাসিব হাওলাদার বাদী হয়ে একটি পরিকল্পিত চুরির ঘটনা সাজিয়ে মামলা দেয় (জিআর ৬০/২০২৫) এবং তার ছেলেকে জেল হাজতের মাধ্যমে শিশু কিশোর সংশোধন কেন্দ্রে প্রেরণ করেন।
এ ঘটনার পরে ২৭ জানুয়ারী জামিন পায় শিশু রহিম। এ ঘটনার পর থেকে হাসিব হাওলাদার ক্ষমতার প্রভাবে আব্দুর রহিম এর পরিবার এলাকায় ঢুকতে পারছে না। বিভিন্ন ধরনের হুমকি ধামকি দেয়। তাই এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রকৃত অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানান তিনি।
আরও পড়ুন: