পাবনার ভাঙ্গুড়ায় জরিনা রহিম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় পুরস্কার না নিয়ে নগদ টাকা ভাগাভাগি করে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে বিদ্যালয়টির শিক্ষকদের বিরুদ্ধেতন
এ ঘটনায় বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ বিভিন্ন মহলে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
বুধবারের এ ঘটনায় বিদ্যালয়টির ৩০ জন শিক্ষক ও কর্মচারীকে বৃহস্পতিবার কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুন নাহার।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, ভাঙ্গুড়া রহিম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে দুর্নীতির অভিযোগে গত আট বছর আগে প্রধান শিক্ষক শওকত আলী এবং গত তিন মাস আগে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ফারুক হোসেন বরখাস্ত হয়েছিলেন। বর্তমানে তারা দুই প্রধান শিক্ষকই দায়িত্বের বাইরে রয়েছেন।
সেই সূত্র ধরে প্রায় গত তিন মাস আগে দায়িত্ব পান একই বিদ্যালয়ের জৈষ্ঠ শিক্ষক আফলাতুন নাহার। তিনি প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালনে দক্ষতার পরিচয় দিতে না পারায় সহকারী শিক্ষকরা নানা ধরনের অনিয়মে জড়িয়ে পড়েন।
এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। ঐদিন বিদ্যালয়ের প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
শেষে ৩০ জন শিক্ষক তাদের পুরস্কার হিসেবে ৫০০ টাকা করে ভাগ করে নেন। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রায় ৩০ জন শিক্ষক ও কর্মচারীকে ম্যানেজিং কমিটির অনুমতি ছাড়াই ওই টাকা করে প্রদান করে।
তবে বাৎসরিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা উপলক্ষে শিক্ষকদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণের জন্য সভাপতির কাছ থেকে অনুমোদন নেয়া হয়েছিল। কিন্তু তারা পুরস্কার না কিনে ওই টাকা তারা সভাপতির অনুমোদন ছাড়াই ভাগাভাগি করে নেন।
এ ঘটনায় শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও সুধী সমাজে চলছে সমালোচনার ঝড়। ঘটনাটি বিদ্যালয়টির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছা. নাজমুন নাহার এর নজরে আসলে তিনি শিক্ষক কর্মচারীদের কে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন।
অভিযোগের বিষয়ে বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক আফলাতুন নাহার বলেন, শিক্ষকরা নগদ টাকা নিয়ে নিজের ইচ্ছামতো পুরস্কার কিনবেন। তাই তাদের সিদ্ধান্তে নগদ টাকা দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুন নাহার বলেন, পুরস্কারের পরিবর্তে নগদ অর্থ প্রদানের বিষয়ে প্রধান শিক্ষকসহ সকল শিক্ষক কর্মচারীকে বৃহস্পতিবার শোকজ করা হয়েছে। তাদের জবাব পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: