সোমবার

৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
২১ মাঘ, ১৪৩১
৫ শা’বান, ১৪৪৬

বরিশালের চাঞ্চল্যকর শিশু হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ

বরিশাল প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ ১৭:১৩

শেয়ার

বরিশালের চাঞ্চল্যকর শিশু হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ
ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ। বাংল এডিশন

শিশু সাফওয়ানের হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে সোমবার বিকেলে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে এলাকাবাসী। সর্বস্তরের জনতা ও ছাত্র সমাজের ব্যানারে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের গৌরনদী বাসস্ট্যান্ডে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন শেষে শত শত নারী ও পুরুষরা মহাসড়কে বিক্ষোভ মিছিল করেন।

বিক্ষুব্ধরা শিশু সাফওয়ানকে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত আসামিসহ অন্যান্য যারা জড়িত রয়েছেন তাদের আইনের আওতায় এনে দ্রুত ফাঁসির দাবি করেন। একইসাথে সাফওয়ানের হত্যার মুল কারণ এখনও থানা পুলিশ উদ্ঘাটন করতে না পাড়ায় বিক্ষুব্ধরা তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন। অনতিবিলম্বে মিডিয়ার মাধ্যমে হত্যার প্রকৃত ঘটনা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে উপস্থাপন করার জন্য মানববন্ধন থেকে দাবি জানানো হয়েছে।

মানববন্ধন চলাকালীন অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সভায় কবি রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, নিহতের বাবা ইমরান শিকদার, সমাজসেবক লিটন প্যাদা, রাকিব হোসেন, নারীনেত্রী নয়ন মনি, ফিরোজা বেগম, তানিয়া আক্তার, বিউটি বেগম, শাম্মি আক্তারসহ অন্যান্যরা।

গৌরনদী মডেল থানার ওসি মো. ইউনুস মিয়া জানান, মামলার এজাহারভূক্ত অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

উল্লেখ্য, জেলার গৌরনদী উপজেলার মধ্য হোসনাবাদ গ্রামের ইমরান শিকদারের পাঁচবছরের শিশু পুত্র সাফওয়ান গত ১৫ জানুয়ারি রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হন। পরেরদিন ভোরে স্থানীয় মান্না বেপারীর বিল্ডিংয়ের পিছনের একটি জমির মধ্যে শিশু সাফওয়ানের রক্তাক্ত লাশ দেখতে পেয়ে এলাকাবাসী পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ, র‌্যাব ও গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে শিশু সাফওয়ানের লাশ উদ্ধার করেন।

এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ ওইদিনই স্থানীয় ইউপি সদস্য মোজাম্মেল হোসেন ও রোমান চৌধুরী নামের দুইজনকে গ্রেপ্তার করেন। পরবর্তীতে শিশু সাফওয়ানের বাবা বাদি হয়ে ছয়জনের নামোল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৯/১০ জনকে আসামি করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলায় উল্লেখিত দুইজনসহ এজাহারভূক্ত আসামি রোমানের স্ত্রী আখি বেগম ও বোন রাবিনা বেগমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

অপরদিকে গত ১৭ জানুয়ারি বিকেলে নিহত শিশুর লাশ ময়নাতদন্ত শেষে হাসপাতাল মর্গ থেকে এলাকায় নিয়ে আসলে উত্তেজিত জনতা গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের দুইটি দালান ও তিনটি টিনের ঘরে অগ্নিসংযোগ করে পুড়িয়ে দিয়েছে।

সূত্রমতে, নিহত শিশুর দাদা বারেক শিকদারের সাথে জমাজমি নিয়ে প্রতিবেশী লোকমান চৌধুরীর দীর্ঘদিন থেকে বিরোধ চলে আসছে। প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে ওই বিরোধের জেরধরেই এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে।